২০ জানুয়ারির মধ্যে জিম্মি মুক্তি দিতে হামাসকে সময়সীমা বেঁধে দিল ইসরাইল
প্রথম নিউজ, অনলাইন : আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউজে অভিষেক হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সেই অনুষ্ঠানের আগে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কাছে আটক ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্ত করে দেওয়া না হলে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ ভােগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।
এবার একই সুরে সুর মিলিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ। শুক্রবার এক ঘোষণায় তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের সময়ের মধ্যে হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি না হয়, তবে গাজায় হামাসকে ‘সম্পূর্ণ পরাজিত’ করার একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করার জন্য তিনি সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
কাৎজ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের সময়ের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়িত না হয়, তবে গাজায় হামাসের সম্পূর্ণ পরাজয় ঘটাতে হবে’।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, তিনি সামরিক বাহিনীকে বলেছেন জিম্মিদের মুক্তি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইসরাইল যেন এমন এক দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়ে, যা তাদের জন্য পরে ভারী মূল্য চােকাতে হবে।
কাৎজ আরও বলেন, ‘আমাদের এমন একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়ানো উচিত নয়, যা আমাদের জন্য ব্যয়বহুল হবে এবং যা আমাদের বিজয়ের পথে না নিয়ে গিয়ে গাজায় হামাসের সম্পূর্ণ কৌশলগত পরাজয় নিশ্চিত করবে না’।
গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান এবং সীমান্তে সামরিক কার্যক্রমে ইসরাইলি সেনাদের হতাহতের সংখ্যা ৩৯৮ জনে পৌঁছেছে।
কাৎজ বলেছেন, বৃহস্পতিবার রাতে আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি মূল্যায়ন সভায় হামাসের ‘সম্পূর্ণ পরাজয়ের’ জন্য পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি তার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং তাদের বাড়ি ফেরানোর জন্য সবকিছু করা উচিত।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে এক দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়াতে পারি না, যখন বন্দিরা সুড়ঙ্গের মধ্যে তাদের জীবন বিপদের মুখে রেখে সেখানে নিপীড়িত হচ্ছেন।
৭ অক্টোবর হামাসের দ্বারা অপহৃত ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে ৯৪ জন এখনও গাজায় রয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জনের মৃতদেহ আইডিএফ নিশ্চিত করেছে।