খালেদা জিয়ার সঙ্গে স্থায়ী কমিটির সাক্ষাৎ
আজ রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজায়’ এই সাক্ষাৎ করেন তারা।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। আজ রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজায়’ এই সাক্ষাৎ করেন তারা। এর আগে রাত আটটায় ফিরোজায় প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার আগে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের সদস্যদের সঙ্গে তার এই সাক্ষাৎ হয়। এ প্রতিবেদন লেখার সময় তারা ফিরোজায় ছিলেন। জানা গেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে বেগম খালেদা জিয়া আগামী ৭ জানুয়ারি রাত ১০টায় লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করতে পারেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা রয়েছে। দেশে ফেরার পথে বিএনপি চেয়ারপারসন ওমরাহ পালন করতে পারেন।
বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর ২ জানুয়ারি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার—উজ—জামান বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তার এই বৈঠক নিয়ে সাধারণ জনগণসহ বিভিন্ন মহলের মাঝে বেশ কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপি সূত্র জানায়, উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে প্রথমে দীর্ঘ যাত্রার বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। বেগম খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসাবে ইতোমধ্যে অন্তত ১৬ জনের একটি তালিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই তিনি লন্ডন গিয়েছিলেন। এরপর একাধিক মামলার পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ওই বছরের ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন বেগম খালেদা জিয়া। ওই সময় তিনি যুক্তরাজ্যের ডা. হ্যাডলি ব্যারির চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুর্নীতির দুই মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তখন দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দি ছিলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার। অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে বহুবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। আওয়ামী সরকার তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। পরে দেশি—বিদেশি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার অস্ত্রোপচার দেশেই করা হয়। ছাত্র—জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়। ৮০ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া আথ্রর্াইটিস, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, হƒদরোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।