জন্মের আগেই যত্ন, মায়ের পাতে থাকুক পুষ্টিকর ৫ খাবার

 জন্মের আগেই যত্ন, মায়ের পাতে থাকুক পুষ্টিকর ৫ খাবার

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : গর্ভাবস্থা মানেই বাড়তি যত্ন, শুধু নিজের নয়, ভবিষ্যতের একটি নতুন প্রাণেরও। এই সময়টাতে সঠিক খাবার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ স্বাস্থ্যকর পুষ্টিই নিশ্চিত করে মায়ের সুস্থতা এবং শিশুর সঠিক বৃদ্ধি। এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষতিকর অভ্যাস (যেমন ধূমপান বা অ্যালকোহল) এড়িয়ে চলাও জরুরি। আজ আমরা জানবো এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে, যেগুলো বায়োটিনে সমৃদ্ধ এবং গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকারী।

মিষ্টি আলু
বায়োটিনে ভরপুর এই খাবারটিকে বলা হয় প্রকৃতির পুষ্টি ভাণ্ডার। আধা কাপ রান্না করা মিষ্টি আলুতে প্রায় ২.৪ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন থাকে। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে আঁশ, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে চাঙা রাখে। বেক, ভাজা বা ম্যাশ করে—যেকোনোভাবে সহজেই খাওয়া যায়। স্যুপ বা তরকারিতেও ব্যবহার করা যায়।

ডিমের কুসুম
পুরো রান্না করা একটি ডিমে থাকে প্রায় ১০ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন। ডিমের কুসুম শুধু চুল ও নখের জন্য নয়, গর্ভাবস্থায় শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে দারুণ ভূমিকা রাখে। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কাঁচা ডিম না খাওয়াই ভালো।

কাঠবাদাম
এক মুঠো কাঠবাদাম হতে পারে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও বায়োটিনের দুর্দান্ত উৎস। এটি গর্ভাবস্থার নানা জটিলতা কমাতে সহায়তা করে এবং ভ্রূণের সঠিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। তবে প্রতিদিন কতটুকু খাওয়া নিরাপদ, তা চিকিৎসকের পরামর্শে ঠিক করাই ভালো।

পালং শাক
সবুজ পাতার মধ্যে সবচেয়ে পুষ্টিকর হিসেবে বিবেচিত পালং শাকে রয়েছে ফোলেট, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং বায়োটিন। ১০০ গ্রাম পালং শাকে পাওয়া যায় প্রায় ৪.২৫ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন, যা গর্ভবতীদের জন্য দারুণ উপকারী।

কলা
শক্তির দুর্দান্ত উৎস কলা, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি ছাড়াও এতে আছে বায়োটিন। একটি মাঝারি আকারের কলায় থাকে ০.২ থেকে ০.৬ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন, যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।


গর্ভাবস্থায় খাদ্যতালিকায় নতুন কিছু যোগ করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ প্রতিটি নারীর শারীরিক চাহিদা ভিন্ন। নিরাপদ মাতৃত্বের পথে সবচেয়ে বড় সহায় হল ব্যক্তিগত সচেতনতা ও পুষ্টিসম্মত খাদ্যাভ্যাস।