যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে: ইসি আলমগীর

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে তিনি এ কথা জানান।

যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে: ইসি আলমগীর

প্রথম নিউজ, ঢাকা: সংবিধানের বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী ২৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। সেটি যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচন কমিশন ভোটের জন্য শতভাগ প্রস্তুত হয়ে গেছে। রাজনীতি পরিস্থিতি কী ভোটমুখী মনে করছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধানি অনুযায়ী জানুয়ারীর ২৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। এটি যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে। তা না হলে একটি সাংবিধানিক গ্যাপ (শূনতা) তৈরি হবে। সেই গ্যাপ তৈরি হলে দেশে একটা অরাজকতার পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সেটি তো নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না। কারণ নির্বাচন কমিশনের উপর যে দায়িত্ব-জাতীয় নির্বাচন করার জন্য কিন্তু প্রস্তুতি প্রয়োজন হয়। প্রস্তুতি কিন্তু আগে থেকে নিতে হয়।

যেমন, ভোটার তালিকা করতে হবে, ভোটকেন্দ্র করতে হবে। যারা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ব্যালট পেপার কেনার জন্য কাগজ প্রকিউরমেন্ট করতে হবে। নির্বাচন করার জন্য বাক্স লাগবে, সেগুলো কিনতে হবে, কালি লাগবে। সুই, সুতা নানান ধরনের জিনিস লাগবে। এখন নির্বাচন ডিসেম্বরে নাকি জানুয়ারিতে হবে সেটি পরের বিষয়। নির্বাচন যখনই করেন, আপনাকে প্রস্তুতি তো আগে থেকেই রাখতে হবে।      
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ফেম্বোসার সদস্যদের দেশ বিশেষ করে আমাদের আশপাশের যেসব দেশ আছে তাদের আমরা আমন্ত্রণ জানাই। আমরা শীঘ্রই তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাবো। সার্কভূক্ত দেশগুলোকে (আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা) আমন্ত্রণ জানানো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শীঘ্রই তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেয়া হবে। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়। আমরা চাই দেশি-বিদেশি বেশি সংখ্যক পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক।