Ad0111

মেয়েদের যে স্বভাব সহ্য হয়না ছেলেদের

মেয়েদের এমন কিছু স্বভাব রয়েছে যা ছেলেরা একেবারেই পছন্দ করে না। যে কারণে ফাটল ধরতে পারে সম্পর্কেও। 

মেয়েদের যে স্বভাব সহ্য হয়না ছেলেদের
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে সব মানুষ একইরকম হয় না। বৈশিষ্ট্যই মানুষে-মানুষে ফারাক সৃষ্টি করে। অন্যের স্বভাব কিংবা গুণ দেখে মানুষ প্রেমে পড়ে, ভালোবাসে বা পছন্দ করে। আবার স্বভাবের কারণেই দূরে সরে যায়। মেয়েদের এমন কিছু স্বভাব রয়েছে যা ছেলেরা একেবারেই পছন্দ করে না। যে কারণে ফাটল ধরতে পারে সম্পর্কেও। 

জেনে নিন মেয়েদের এমন অভ্যাস বা স্বভাব সম্পর্কে যা ছেলেরা পছন্দ করে না-

একই কথা বারবার বললে: প্রেমিকার কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান করে একই কথা বলতে থাকলে সেটি তারা সহ্য করতে পারেন না। দুঃখজনকভাবে, এই স্বভাব অনেক মেয়ের মধ্যেই দেখা যায়। এটি সঙ্গীর মনে খুবই নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলে। যে কারণে এই অভ্যাস থাকলে তা দূর হবে। এক কথা বারবার বলবেন না। কোনো সমস্যা হলে তার সহজ সমাধান খুঁজে বের করুন।

​উপেক্ষা করার স্বভাব: সম্পর্কের শুরুতে মেয়েটি হয়তো ছেলেটিকে উপেক্ষা করতে থাকে, যেন ছেলেটি তার প্রতি আরও বেশি আকর্ষণ অনুভব করে। প্রথম দিকে পুরো ব্যাপারটি উপভোগ্য মনে হলেও ছেলেরা এটি বেশিদিন সহ্য করতে পারে না। কিন্তু মেয়েটি যদি সব সময়ই এই অভ্যাস ধরে রাখে, তাহলে ছেলেটির পক্ষে সেটি মেনে নেওয়া সম্ভব হয় না। উপেক্ষা কেউ-ই বেশিদিন সহ্য করতে পারে না। এর ফলে অজান্তেই বাড়তে থাকে দূরত্ব। তাই হারিয়ে ফেলতে না চাইলে বাদ দিতে হবে উপেক্ষা করার স্বভাব।

​আদেশ দেওয়া: সবকিছুতে প্রভাব বিস্তার করতে চাওয়া বা যখন-তখন আদেশ দেওয়ার স্বভাব থাকলে সেই মেয়েকে ছেলেরা পছন্দ করে না। পুরুষের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে চাইলে তারা সেটি মেনে নিতেও চান না। আসলে সম্পর্ক টিকে থাকে পারস্পারিক সহযোগিতায়। একে অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে সেই সম্পর্ক বেশিদূর এগোতে পারে না। এমন স্বভাব কোনো নারীর মধ্যে থাকলে তাকে কিছুদিনের মধ্যেই অপছন্দ হতে শুরু করে পুরুষটির।

স্পেস না দিলে: বর্তমান সবাই চায় কিছুটা স্পেস বা নিজের মতো করে সময় কাটাতে। বিয়ে করা মানেই প্রাইভেসি বলে কিছু থাকবে না, তা কিন্তু নয়। সন্দেহবাতিকতা ও হিংসাপরায়নতার কারণে অনেক নারী স্বামীকে কোনো স্পেসই দিতে চান না। এটি দেখতে ভালোবাসা মনে হলেও আসলে এক ধরনের মানসিক নির্যাতন। অনেকে সারাক্ষণ পুরুষসঙ্গীর ওপর নজরদারি বজায় রাখেন। তার ব্যক্তিগত সবকিছু ঘাঁটাঘাঁটি করেন। এ কারণে পুরুষটি বিরক্ত হন এবং ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে দূরত্ব।

​হিংসুটে: কথায় আছে, মেয়েরা একটু বেশিই হিংসুটে হয়। অধিকাংশ নারীই তার জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে বেশি পজেসিভ হয়ে থাকেন। অনেকে আবার ভোগেন নিরাপত্তাহীনতায়। যে কারণে স্বামীর মুখে অন্য কোনো নারীর নাম শুনলেও তারা তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন। অনেকে আবার একধাপ এগিয়ে। তারা পুরুষ সঙ্গীটিকে সন্দেহ করতে থাকেন। নারীর এই অভ্যাস পুরুষের কাছে একটা সময় অসহ্য হয়ে ওঠে। সন্দেহ অনেক বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই সন্দেহবাতিক থাকলে তা আজই বাদ দিন। সঙ্গীর ওপর আস্থা রাখুন। হিংসা আপনার মনের শান্তি নষ্ট করবে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news