মহাত্মা গান্ধীর নাতি অরুণ গান্ধীর মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে নিজের ওপর ইহুদি জায়নবাদী হামলার বিরুদ্ধে ‘সত্যগ্রহ’ প্রতিবাদের সময় মুম্বাইতে ছেলে তুষার গান্ধীর সাথে মহাত্মা গান্ধীর নাতি অরুণ গান্ধী
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে নিজের ওপর ইহুদি জায়নবাদী হামলার বিরুদ্ধে ‘সত্যগ্রহ’ প্রতিবাদের সময় মুম্বাইতে ছেলে তুষার গান্ধীর সাথে মহাত্মা গান্ধীর নাতি অরুণ গান্ধী
ভারতের ব্রিটিশবিরোধী অহিংস আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধীর নাতি অরুণ গান্ধী মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। মঙ্গলবার (২ মে) সকালে দেশটির মহারাষ্ট্র রাজ্যের কোলহাপুরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা যান তিনি।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহাত্মা গান্ধীর নাতি অরুণ গান্ধী ২ মে মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরে অসুস্থ হয়ে মারা যান বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। ৮৯ বছর বয়সী এই লেখক এবং সামাজিক-রাজনৈতিক কর্মীর শেষকৃত্য আজ কোলহাপুরে অনুষ্ঠিত হবে বলে তার ছেলে তুষার গান্ধী পিটিআইকে জানিয়েছেন।
দ্য হিন্দু বলছে, ১৯৩৪ সালের ১৪ এপ্রিল ডারবানে মণিলাল গান্ধী এবং সুশীলা মাশরুওয়ালার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন অরুণ গান্ধী। পরবর্তী জীবনে অরুণ গান্ধী একজন কর্মী হিসাবে তার পিতামহের পদাঙ্কই অনুসরণ করেছিলেন।
আরেক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, মহাত্মা গান্ধীর নাতি অরুণ মণিলাল গান্ধী মঙ্গলবার সকালে কোলহাপুর শহরের কাছে হানবারওয়াড়িতে অবস্থিত অবনী সংস্থায় মারা গেছেন। অরুণ গান্ধী চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি কোলহাপুরে এসেছিলেন। তিনি সেখানে দশ দিন থাকার পরিকল্পনা করেছিলেন।
গত ২৪ বছর ধরে অরুণ কর্মী অনুরাধা ভোসলে পরিচালিত অবনী সংস্থায় যেতেন। সংগঠনটি মূলত গৃহহীন নারীদের জন্য কাজ করে থাকে।
অনুরাধা ভোসলে বলেন, ‘এখান থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করার আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার স্বাভাবিক ফ্লু-এর মতো হয়েছিল। আমরা তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করি। তিনি সুস্থ হয়ে অবনী সংস্থায় ফিরে আসেন কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে ভ্রমণ না করতে বলেছিলেন।
তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় আমরা মহারাষ্ট্র দিবস উদযাপন করেছি। তিনি মেয়েদের বলেছিলেন, যে কোনও জিনিসের মধ্যে নিজেদের রাজ্য ও দেশকে সবচেয়ে প্রিয় রাখতে। ভোসলে বলেন, অরুণ গান্ধী রাত অবধি লেখালেখি করেন এবং সকালে তিনি তার বিছানায় মারা যান।
ভোসলে বলেন, ‘গত আড়াই দশক ধরে অরুণ গান্ধীর সঙ্গে আমি একসঙ্গে কাজ করেছি। তিনি যতবার আসতেন, আমাদের সঙ্গে থাকতেন। তিনি মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির একটি জাদুঘর তৈরি করতে চেয়েছিলেন। প্রাথমিক জীবনের দুই বছর মহাত্মার সাথে থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল তার। এখন যেহেতু তিনি আর নেই, আমরা ওয়াশি নন্দওয়ালে যেখানে মহাত্মা গান্ধী মিশনের জমি পাওয়া যায় সেখানে মিউজিয়াম স্থাপন করে তার স্বপ্ন পূরণ করব।’
অরুণ গান্ধীর ছেলে তুষার গান্ধী তার বাবার সাথে শেষকৃত্যের জন্য কোলহাপুরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।