মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ

এমপির এপিএস পরিচয়ে প্রতারণা

মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ

প্রথম নিউজ, ঢাকা: সাবেক এমপি ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রহমানের এপিএস পরিচয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ। গ্রেফতার ওই ব্যক্তি হলেন আবু হুরায়রা ওরফে খালিদ হাসান। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপিদের নাম, মোবাইল নাম্বার ও বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত কাগজ, প্রেসিডিয়াম সদস্যের নাম সম্বলিত ১টি সিল, ২ পাতা ডিও লেটার, ৩টি মোবাইল ফোন ও ১০টি মেবাইল সিম উদ্ধার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের ইনচার্জ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) নিশাত রহমান মিথুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলার বাদী সৌরভ কুমার সাহা সাবেক এমপি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রহমানের এপিএস হিসেবে নিযুক্ত আছেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য আলতানা শিখা মোবাইলে ফোন করে বাদীকে জানান, সাবেক এমপি আব্দুর রহমানের পিএ পরিচয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জানিয়েছেন এমপি সাহেব কথা বলবেন। অজ্ঞাত ব্যক্তি তাৎক্ষণিক আব্দুর রহমানের পরিচয় দিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে টাকা দাবি করেন।

এছাড়াও বিভিন্ন সময় এমপির ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মোবাইল ফোনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করে। এই ঘটনায় সৌরভ কুমার সাহা রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন। তিনি আরও বলেন, মামলাটি ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগে হস্তান্তর করা হলে ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান শনাক্ত করে বগুড়া সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এডিসি নিশাত রহমান মিথুন আরও বলেন, গ্রেফতার আবু হুরায়রা রংপুর বেতার কেন্দ্রে রেডিও মেকানিক হিসেবে চাকরি করতেন। ৪-৫ বছর আগে আবু হুরায়রার বন্ধু মিঠুন প্রতারণা করে তার বিকাশ নম্বরে টাকা আনতেন এবং সেই টাকার একটা ভাগ পেতেন। পরে নিজেই এই প্রতারণার কাজে জড়িয়ে পড়েন। ২০২০ সালে প্রতারণার জন্য গ্রেফতার হয়ে ৬ মাস কারাদণ্ড ভোগ করে আবু হুরায়রা। গ্রেফতার আবু হুরায়রার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি মডেল থানায় আরো ৪টি মামলা রয়েছে বলেও জানান এই গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তা।