সেমিনারে বক্তারা: বাড়াতে হবে জিও টেক্সটাইলের গবেষণা ও উৎপাদন

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিভিন্ন ভূ-প্রযুক্তিগত প্রকৌশল প্রয়োগে জিও টেক্সটাইল ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের সিভিল নির্মাণ প্রকল্পে মাটি ফিল্টার, স্থিতিশীল, শক্তিশালীকরণ, পৃথকীকরণ, নিষ্কাশন এবং বিচ্ছিন্নকরণের জন্যও এটি ব্যবহৃত হয়। তা ছাড়া জিও টেক্সটাইল প্রাকৃতিক সমষ্টিগত নির্মাণ উপকরণ প্রতিস্থাপন বা হ্রাস করতে পারে, যা অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত উভয় সুবিধা প্রদান করে। সেজন্য জিও টেক্সটাইল নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের জিও টেক্সটাইল উৎপাদন, পাটভিত্তিক জিও টেক্সটাইল নিয়ে পড়ালেখা ও গবেষণা। কিন্তু এ নিয়ে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) বর্তমানে খুব বেশি কিছু করছে না। পাশাপাশি নারিকেলের ছোবড়ার ওপর গবেষণা করার জন্য, একটি পৃথক গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আইইবির কাউন্সিল হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইইবির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ। টেক্সটাইল বিভাগের সেক্রেটারি প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিমের পরিচালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল হক। বক্তব্য দেন পিডব্লিউডির প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার, আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ আল আমিন, আইইবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী সাব্বির মোস্তফা খান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. সায়েদুর রহমান প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশে জিও টেক্সটাইলের ব্যাপক প্রয়োগ হচ্ছে। যেমন মাটির ক্ষয় নিয়ন্ত্রণ, উপকূলীয় ক্ষয় রোধ, রাস্তা নির্মাণ, নদী ও খাল খনন, পাহাড় ধসে পড়া রোধ, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন, মিঠামইনের হাওরে রাস্তা তৈরি, সেন্টমার্টিনের মতো কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করা যেতে পারে ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা। তবে কুয়াকাটা ও কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে এটি ব্যর্থও হয়েছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ পাটের অন্যতম বৃহৎ উৎপাদনকারী দেশ, যা শতভাগ জৈব-অবচয়নযোগ্য। অনেক ক্ষেত্রে জিও টেক্সটাইল অল্প সময়ের জন্য প্রয়োজন। রপ্তানির বিশাল সুযোগ রয়েছে। আমরা নারিকেলের ছোবড়ারও প্রধান উৎপাদক দেশ।