তিন পুলিশসহ দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামির আপিল শুনানি ২২ নভেম্বর
পল্লবী থানায় জনিকে পিটিয়ে হত্যা
প্রথম নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী থানা হেফাজতে ইশতিয়াক হোসেন জনি নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামির দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে করা আপিলের বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২২ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে দুই আসামিকে ভুক্তভোগীর পরিবারকে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ছিল সেটি দিতে বলেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। তিনি বলেন, জনি হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় করা আপিলের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। ২ আসামি জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় দুজনের আপিল গ্রহণের শুনানির জন্য ২২ নভেম্বর দিন ঠিক করেন এবং ওই দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে তাদের আপিল গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়ে দেন আদালত।
পুলিশ হেফাজতে জনি হত্যা মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান এবং বিচারপতি সাহেদ নুর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) এ আদেশ দেন। আদালতে সেদিন ব্লাস্টের প্যানেল আইনজীবী মো: বদিউজ্জামান তপাদার, আইন উপদেষ্টা ও আইনজীবী এস. এম. রেজাউল করিম এবং স্টাফ আইনজীবী মোহাম্মদ নাজমুল করিম ভুক্তভোগী জনির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী বাপ্পী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পল্লবীর সেকশন-১১, ব্লক-বি ইরানি ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. সাদেকের ছেলে মো. বিল্লালের গায়ে-হলুদের অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান চলাকালীন পুলিশের সোর্স সুমন মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এ সময় সেখানে থাকা ইশতিয়াক হোসেন ও তার ভাই ইমতিয়াজ হোসেনকে চলে যেতে বলা হয়। এ নিয়ে সুমনের সঙ্গে দুই ভাইয়ের বাগবিতণ্ডা বাধে।
পরে সুমনের ফোন পেয়ে পুলিশ এসে দুই ভাইকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। থানায় দুই ভাইয়ের ওপর চলে অমানবিক নির্যাতন। ইশতিয়াকের অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে ইশতিয়াকের ভাই ইমতিয়াজ পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অপর আসামিরা হলেন, পল্লবী থানার তৎকালীন এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, আবদুল বাতেন, রাশেদ, শোভন কুমার সাহা ও কনস্টেবল নজরুল, সোর্স সুমন ও রাসেল।