মনে হচ্ছে সরকারের আয়ু কমে গেছে: মির্জা আব্বাস
রবিবার রাজধানীর মালিবাগের একটি রেস্টুরেন্টে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ইফতার মাহফিলপূর্ব আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেছেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: ‘ডিজিটাল আইনসহ সব কালাকানুন আইন দেখে মনে হচ্ছে, সরকারের আয়ু কমে গেছে। যেকোনো বিনিময়ে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করবে। আমরাও যেকোনোভাবে এই দানব সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাব। আমাদের দাবি, এই সরকার হটাও, দেশ বাঁচাও।’ রবিবার রাজধানীর মালিবাগের একটি রেস্টুরেন্টে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ইফতার মাহফিলপূর্ব আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেছেন। রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে ব্রিটিশ হাইকমিশনের রাজনৈতিক সচিব টমবার্গ, মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অফিসার ম্যাথিউ বে, ভারতীয় দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার রাজেশ অগ্নীহত্রী উপস্থিত ছিলেন।
‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সবাইকে রাজপথে নামতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির স্বার্থে নয়, দেশ ও জনগণের স্বার্থে রাজপথে নামতে হবে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।’ মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকে দানবীয় সরকার আমাদের ওপর জবরদস্তিভাবে চেপে বসেছে। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা সবাই একযোগে রাস্তায় নেমেছি। আমাদের সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা এবং এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারব। জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘মানুষের আহাজারি বাড়ছে, কিন্তু সরকার দর্শকের ভূমিকায়। সরকার নিজে কূটনৈতিক রীতি-নীতি ভঙ্গ করে বহির্বিশ্ব নিয়ে যে বক্তব্য দিচ্ছে, তা নীতি বিবর্জিত।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘দেশ এখন গভীর সঙ্কটে। পরপর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটছে, ক্ষমতাসীন দলের ঘরের ভেতরেও আগুন লেগেছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার বিরুদ্ধে নাকি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পাপ চাপা থাকে না, খুন ও গুমের কথা শুধু দেশবাসী নয়, সারা বিশ্ব অবগত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোজার মধ্যে নাকি আমরা জনগণকে স্বস্তি দেই না। আমরা বলছি, আপনি নিজেই স্বস্তিতে নেই।’
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘দেশের এমন অবস্থা, বিরোধী দল আর সরকারি দল এক সঙ্গে ইফতার করার কোনো উপায় নেই। কিন্তু মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশে সরকারি দল আর বিরোধী দল এক সঙ্গে ইফতার করে থাকেন।’ গণধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘যে অধিকার ও বৈষম্যের প্রতিবাদে স্বাধীনতার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আজ সেই মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই সংগ্রাম করতে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘গত ১৪ বছরে প্রমাণিত হয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনে সম্ভব নয়।’
গণধিকার পরিষদের সদস্য আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ঢাকা মহানগরের নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ফিরোজ খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আশরাফ আলী আকন্দ, বিকল্প ধারার অধ্যাপক নূরুল আমিন বেপারী, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মুহাম্মদ নিজামুল হক প্রমুখ।