বুড়িচংয়ে মসজিদের ইমামের আলোচনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
সোমবার (২৭ মার্চ) ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া পূর্বপাড়ায় এ সংঘর্ষ হয়।
প্রথম নিউজ, কুমিল্লা : বুড়িচংয়ে ষোলনলে বায়তুল আমান জামে মসজিদে তারাবির নামাজের সময় ইমামের আলোচনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নয়জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৭ মার্চ) ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া পূর্বপাড়ায় এ সংঘর্ষ হয়। এর আগে রোববার ওই মসজিদে তারাবির নামাজের পূর্বে আলোচনা করেন ইমাম মো: ফেরদৌস। আহতরা হলেন একই এলাকার মরহুম আব্দুল জলিলের ছেলে মো: সেলিম (৫০), মরহুম হারিজ মিয়ার ছেলে আরিফ (৩০), আব্দুল মুনাফের ছেলে রনি (৩০), জনি (২০), কাফি (১৮), আব্দুল জলিলের ছেলে আবুল হাসেম নবি (৫০) ও আব্দুল মুনাফের স্ত্রী নিলুফা বেগম (৫০)। গুরুতর আহতরা কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ষোলনল ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া পূর্বপাড়া মুনাফ মিয়া পরিবারের সাথে একই এলাকার ও মসজিদের ইমাম মাওলানা ফেরদৌসের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। ওই জামে মসজিদে পবিত্র মাহে রমজানের তারাবির নামাজ পড়ানোর জন্য দায়িত্ব পান বুড়িচং মডেল স্কুলের শিক্ষক মাওলানা মো: ফেরদৌস। আব্দুল মুনাফ মিয়ার পরিবারের অভিযোগ, রোববার পারিবারিক দ্বন্দ্বের আলোচনা করেন ইমাম। এমন আলোচনা শুনে সাথে সাথে প্রতিবাদ করে আব্দুল মুনাফের ছেলে রনি, জনি ও কাফিসহ আরো কয়েকজন মুসল্লি। তখন মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের উত্তেজনা পরিবেশ সৃষ্টি হলে প্রতিবাদকারীরা বাড়িতে চলে যায়। নামাজ শেষে ওই রাতে ইমাম ফেরদৌসের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে মুনাফের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের নয়-১০ জন গুরুতরভাবে আহত হন।
মসজিদের ইমাম ফেরদৌস সংবাদদাতাকে জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে মসজিদে আমি আলোচনা করি নাই। আমি ধর্মীয় বিষয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করছিলাম। এমন সময় ওরা আমার এ আলোচনাকে নিজেদের গায়ে লাগিয়ে ফেতনা সৃষ্টি করে পরিবেশ গোলাটে করলে মুসল্লিদের সাথে হাতাহাতি হয়। এতে মুসল্লিদের মধ্যে আহত হয় কবির হোসেন, মাহবুব, জাহাঙ্গীর, ইসহাক, হেলাল উদ্দিনসহ আরো অনেকে।
মুনাফা মিয়ার স্ত্রী ও ছেলেরা জানান, মসজিদের ইমাম হামলা চালিয়ে থেমে যায়নি। দিনেও তিনি কুমিল্লা থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে তাদের ফার্নিচার দোকানে ভাঙচুর করেছে। প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমরা চেয়ারম্যান ও পুলিশকে অবগত করেছি। আমরা এ কর্মকাণ্ডের সঠিক বিচার চাই। এমন ঘটনা স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা অনেকে তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মসজিদের সভাপতি হাজী মো: আব্দুর রশিদের ঘটনা মূলকারণ বলতে নারাজ।
ষোলনল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সত্যতা জেনে মীমাংসার জন্য উভয়ের সাথে বৈঠকে বসব। বুড়িচং থানার ওসি তদন্ত (পরিদর্শক) মো: কবির হোসেন বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: