বিজেপির পতাকায় ঝুলছে কনডম!

একের বিরুদ্ধে অন্যের অভিযোগ থেকে শুরু করে নানা হামলার ঘটনা শোনা যাচ্ছে গ্রামবাংলার মাঠে–ঘাটে।

বিজেপির পতাকায় ঝুলছে কনডম!

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: আগামী ৮ জুলাই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই কুরুচিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে সব রাজনৈতিক দলই মাঠে নেমে পড়েছে প্রচারে। একের বিরুদ্ধে অন্যের অভিযোগ থেকে শুরু করে নানা হামলার ঘটনা শোনা যাচ্ছে গ্রামবাংলার মাঠে–ঘাটে। এই যখন অবস্থা তখন এবার কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির পতাকায় কনডম ঝুলতে দেখা গেছে!‌ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গেছে। অভিযোগ তোলা হয়েছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর দিয়ে জানাচ্ছেঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে কেউ বা কারা জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮/৫১ নম্বর বুথ এলাকায় বিজেপির দলীয় পতাকায় একটি কনডম ঝুলিয়ে দেয়। আর তা দেখতে পান জলপাইগুড়ির স্থানীয় বাসিন্দারা। তখন এমন কুরুচিপূর্ণ ঘটনার খবর দেওয়া হয় বিজেপি প্রার্থী অলোকা কুজুরকে। তিনি বিষয়টি দেখার পর দলীয় নেতৃত্বকে খবর দেন।

গোটা এলাকায় যখন শোরগোল পড়ে যায় তখন সেখানে ছুটে আসেন বিজেপি কিষাণ মোর্চার জেলা সভাপতি নকুল দাস। তৎক্ষণাৎ ছবি তুলে তিনি এই ঘটনা সম্পর্কে পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে বিজেপির পতাকা সেখান থেকে নিয়ে যায়। তারপরই লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়ঃ এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। তবে এই ঘটনায় কারা জড়িত সেটি এখনও পরিষ্কার হয়নি। কারণ বিজেপির কেউ দেখেননি পতাকায় কে বা কারা কনডম পরিয়েছে। তবে দলীয় পতাকায় কনডম দেখে অনেকে হেসেছেনও। এটা নতুন আঙ্গিক বা ভাবনা বলে মনে করছেন তারা। শুক্রবার সকাল থেকে এই ঘটনাই আলোচনায় উঠে এসেছে চায়ের দোকান থেকে পাড়ার মোড়ে। এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজগঞ্জ থানার অধীনে বেলাকোবা ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ওদিকে, ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি নারায়ণ বসাক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌এই জাতীয় কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয়। তৃণমূল কংগ্রেস এসবের সঙ্গে জড়িত নয়।’‌ যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি। এ বিষয়ে বিজেপি কিষাণ মোর্চার জেলা সভাপতি নকুল দাস বলেন, ‘এ ঘটনা তৃণমূলের পক্ষেই করা সম্ভব। কারণ, তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ শিবলিঙ্গে কনডম পরিয়ে দেওয়ার মতো কাণ্ড করেছিলেন। তাই ওরাই এমন কাজ করতে পারে বলে বিশ্বাস করি। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পুলিশকে সঠিক তদন্ত করতে বলেছি'।