ফরিদপুরে বিএনপির অফিসে আ.লীগ নেতাকর্মীদের হামলা: ভাঙচুর
ঝিলটুলি মহল্লার ফরিদ শাহ সড়কের কাঠপট্টি এলাকায় অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রথম নিউজ, ফরিদপুর: রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্যোগে মোটরসাইকেলযোগে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এসময় মিছিল থেকে জেলা বিএনপি অফিসে হামলার ঘটনা ঘটে।
রোববার (২১ মে) রাত ৯টার দিকে শহরের ঝিলটুলি মহল্লার ফরিদ শাহ সড়কের কাঠপট্টি এলাকায় অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও তার কয়েকটি সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আনুমানিক ১০০ থেকে ১২০টি মোটরসাইকেলের একটি বহর নিয়ে মিছিলটি শুরু হয় শহরের হাসিবুল হাসান লাভলু সড়ক সংলগ্ন শেখ রাসেল স্কয়ার থেকে। এরপর মিছিলটি শহরের কাঠপট্টিস্থ ফরিদ শাহ সড়কের মনা প্লাজার তিনতলায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আসে।
আ.লীগের বিক্ষোভ মিছিল থেকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের প্রধান ফটক ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় বিক্ষোভকারীরা মোটরসাইকেল থেকে নেমে তিনতলায় ওঠে বিএনপি কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তারা দরজায় লাথি মারেন এবং কার্যালয় সামনে এবং বাইরে বিএনপি নেতাদের টানানো বিভিন্ন ব্যানার এবং সাইনবোর্ড ভাঙচুর করেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান সম্পর্কে বিরূপ শ্লোগানসহ বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিক্ষোভকারীরা অফিস কার্যালয়ের সামনে ভাঙচুর করেছেন। বিষয়টি জেলা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। ঝিলটুলি মহল্লার ফরিদ শাহ সড়কের মনা প্লাজার তৃতীয় তলায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের আ.লীগের বিক্ষোভ মিছিল থেকে হামলা করে ব্যানার ছেঁড়া হয়।
তিনি বলেন, আগামী ২৩ মে জেলা বিএনপির পদযাত্রা নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে তারা প্রস্তুতি সভা করে রাত পৌনে ৯টার দিকে তালা দিয়ে অফিস থেকে বের হন। এরপর রাত ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ বলেন, রাজশাহীতে বিএনপি নেতা একটি জনসভায় প্রকাশ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এর জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। তিনি বলেন, বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিএনপির কার্যালয়ে কোনো ভাঙচুর করা হয়নি। তবে এর দরজায় দুই/একটা লাথি মারা হয়ে থাকতে পারে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলটি বিএনপির কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার সময় কিছু ব্যানার ছেঁড়া অবস্থায় দেখা যায়। তবে এসময় ঝড়ো হাওয়া বইছিল। এ মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা ব্যানারগুলো ছিঁড়েছে নাকি ঝড়ো বাতাসে ছিঁড়ে গেছে তা বলা যাচ্ছে না।
মোটরসাইকেল বহরে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আ.লীগ ও তার কয়েকটি সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলা। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল বেলা ১১টায় শহরের আলিপুর মোড়ে একই দাবিতে জেলা আওয়ামী লীগসহ সব সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।