পটুয়াখালীতে বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবিতে নিহত ১, বরসহ নিখোঁজ ৪
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রথম নিউজ, পটুয়াখালী : পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের চর আপতি নামক স্থানে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মারা গেছেন একজন। বরসহ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন চারজন। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের মনির হওলাদরের ছেলে রাব্বি (২৫), স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪৫), ভাগনি খাদিজা (৭) ও মারিয়া (৮)। নিহত লিপি আক্তার (২৮)। তিনি সম্পর্কে নিখোঁজ বরের ফুফু।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উপজেলার চরবোরহান ০৯ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর শাহজালাল গ্রামের মো: হুমায়ন কবিরের মেয়ে মোসা: সুমাইয়া বেগমের সাথে রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের মো: মনির হোসেন হাওলাদারের ছেলে মো: রাব্বির সাথে বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকালে বর পক্ষ বৌ আনতে যায় কনের বাড়িতে। কনেকে নিয়ে বিকেল ৪টায় আউলিয়াপুর বরের বাড়ি ট্রলার যোগে রওয়ানা দিয়ে আউলিয়াপুর ও চরবোরহান মধ্যবর্তী চর আপতি নামক স্থানে ঝড়ের কবলে পরে ট্রলার উল্টে বর ও কনের পরিবারে প্রায় ২০ জন ডুবে যায়। ১৫ জন সাতরে তীরে উঠলেও বরসহ চারজন নিখোঁজ হন এবং লিপি আক্তার নামে একজন নিহত হন। তিনি সম্পর্কে নিখোঁজ বরের ফুফু। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজির আহমেদ সরদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা ও উপজেলা ফায়রা সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দশমিনাকে জানালে ঘটনা স্থলে ছুটে যায়। এখ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান।
প্রত্যক্ষদর্শী মো: মনির হোসেন হাওলাদার বলেন, আমার ছেলে বৌকে নিয়ে আসার সময় চর আপতি নামক স্থানে আসলে ট্রলার উল্টে যায়। ট্রলারে প্রায় ২০ জন ছিলাম। আমার স্ত্রী সেলিনা ভেসে যাওয়ার সময় সাত বছরের মেয়ে খাদিজাকে আমার হাতে দিয়ে ডুবে যায় তাকে বাঁচাতে পারিনি। এখনো আমার স্ত্রী সেলিনা, আমার ছেলে মো: রাব্বি, ভাগনি খাদিজা ও মারিয়াকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমার বোন লিপি বেগমের লাশ উদ্ধার করে সৈয়দ জাফর জেলেরা।
উপজেলা ফয়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স লিডার আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার বিষয় জানার পর আমরা ঘটনা স্থলে এসে প্রাথমিকভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছি। পটুয়াখালী ডুবুরি দলকে খবর দেয়া হয়েছে, কিছুক্ষণে মধ্যে এসে পৌঁছাবে, তারপর পুনরায় উদ্ধার কাজ শুরু করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন ঘটনার বিষয় শুনে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযানের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যহত আছে। উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দশমিনা ও পটুয়াখালী ইউনিট, দশমিনা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও থানা পুলিশ কাজ করছে।