নির্বাচনের আগেই প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. ফরিদ আহাম্মদ।

নির্বাচনের আগেই প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

প্রথম নিউজ, ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই তিন ধাপে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।

আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই আমরা প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করতে চাই। যদি তিন ধাপের পরীক্ষা শেষ নাও করা যায়, অন্তত প্রথম ধাপের এমসিকিউ পরীক্ষাটা নিতে চাই। এ লক্ষ্যে জোর প্রস্তুতি চলছে।

ফরিদ আহাম্মদ আরও বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, বুয়েটসহ অন্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের মতামতও পাওয়া গেছে। শিগগির পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের আগে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবারও পরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় থাকবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বুয়েটের মাধ্যমে আগের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়নি। ঝুঁকিও ছিল না। দ্রুত সময়ে পরীক্ষা নিয়ে নির্ভুলভাবে ফলাফল প্রকাশ সম্ভব হয়েছিল। তাই এবারও বুয়েটের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

সূত্র আরও জানায়, সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বুয়েটের সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয়েছে। এরপর রোববার (১৩ আগস্ট) এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। এখন পরীক্ষার তারিখ ঠিক করতে শিগগির একটি সভা ডাকা হবে। সেখানে তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।

জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ধাপে আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৪ মার্চ। প্রথম ধাপে আবেদন জমা পড়ে তিন লাখ ৬০ হাজার ৭০০টি। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ১৪ এপ্রিল। দ্বিতীয় ধাপে আবেদন জমা পড়ে চার লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮টি।

১৮ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। এ ধাপে আবেদন শেষ হয় গত ৮ জুলাই। তৃতীয় ধাপে আবেদন জমা পড়েছে তিনি লাখ ৪০ হাজারের কিছু বেশি।