নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কারণেই দেশে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে: ফারুক

নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কারণেই দেশে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে: ফারুক

 প্রথম নিউজ,  অনলাইন: সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কারণেই দেশে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াও দেশবাসী’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। জয়নুল ফারুক বলেন, “দেশে যেন একটা অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই অস্থিরতার মূল হোতা কারা? কারা নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চাচ্ছে? এই বিষয়গুলো অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মতো মহান ব্যক্তির কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, “আপনি (মুহাম্মদ ইউনূস) নাকি বলেছেন, জুলাইয়ে নির্বাচন হবে। জুলাই হবে না, ডিসেম্বরে হবে… রোডম্যাপ দিয়ে দিলেই তো যারা আন্দোলনে ছিল, যারা হাসিনার আমলে আয়না ঘরে ছিল, লক্ষ মামলা খেয়েছে… তারা আপনার সঙ্গে বসতে পারত। কিন্তু এখনো নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হয়নি। যদি এই অস্থিরতার সৃষ্টি আপনারা করে থাকেন, তবে তার দায় বিএনপি কখনোই গ্রহণ করবে না।” অবিলম্বে সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিও জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে জয়নুল বলেন, সংস্কার করেন কিন্তু এমন সংস্কার কইরেন না যেই সংস্কারের মধ্য দিয়ে করিডোর হবে, চট্টগ্রাম বন্দর অন্যের হাতে চলে যাবে … এমন সংস্কার কইরেন না যে সংস্কারের মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচনকে বিলম্বিত করে আপনাদের (মুহাম্মদ ইউনূস সরকার) অস্থির করে তুলবে। তাই আপনার অস্থিরতা কাটাতে হলে আপনাকেই আজ-কাল-পরশুর মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, “এই দেশ আমাদের। এই দেশ থেকে আমাদের কেউ খেদিয়ে দিতে পারবে না। আমরা কেবল নির্বাচন চাই।”
পত্র-পত্রিকায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘পদত্যাগের আলোচনা’র খবরের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, “আপনি নন্দিত লোকটি নিন্দিত হয়ে বিদায় নেন আমরা মনে কষ্ট পাব। ইতিহাসে আপনার নামটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকুক যে আপনি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের মতো একটি নির্বাচন দিয়েছেন, আপনি দিনের ভোট দিনে করেছেন, আমার ভোটের অধিকার আপনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন… ইতিহাস লেখা থাকবে।”
“সেই ইতিহাসে আপনি আমাদের গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আপনাকে নিয়ে অহংকার করতে পারবে। তাই আপনার কাছে অনুরোধ অনতিবিলম্বে এই তিনজনকে (আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মাহবুব আলম ও খলিলুর রহমান) উপদেষ্টা পরিষদ থেকে আপনি চিঠি দিয়ে দেন… অনুরোধ করেন তারা যেন পদত্যাগ করে। নইলে এই তিনজনকে আপনাকে বিদায় করতে হবে।”
‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’-এর সহ-সভাপতি এম এ আজাদ চয়নের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।