নৌকার মাঝি হয়ে হারালেন প্রার্থিতা, ভাষাহীন সালাম হেঁটে গেলেন একাই
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটোরিয়ামে আপিল শুনানির পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এই রায় দিয়েছেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: মনোনয়নপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর করা আবেদন মঞ্জুর করে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বৈধতা হারিয়েছেন ময়মনসিংহ- ৯ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালাম।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটোরিয়ামে আপিল শুনানির পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এই রায় দিয়েছেন।
রায়ে প্রার্থিতা হারিয়ে নীরবে ইসি থেকে বেরিয়ে আসেন আব্দুস সালাম। শুনানি শেষে অন্য প্রার্থীরা যে দিক বের হচ্ছেন; আব্দুস সালাম সেদিক দিয়ে বের না হয়ে সংবাদকর্মীদের এড়িয়ে ইসির প্রধান ফটক দিয়ে বেরিয়ে যান। সেসময় সংবাদকর্মীরা তার দিকে ছুটে যান, জানতে চান তার প্রার্থিতা বাতিল বিষয়ে। কিন্তু আব্দুস সালাম সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথাই বলতে রাজি হননি।
ময়মনসিংহ- ৯ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালামের সঙ্গে ইসির বাইরে রাখা গাড়ি পর্যন্ত যান সংবাদকর্মীরা, তবুও তিনি কোনো কথা না বলে গাড়িতে উঠে চলে যান। এর আগে মনোনয়নপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর করা আপিল শুনানিতে অংশ নিতে ইসিতে এসেছিলেন ময়মনসিংহ- ৯ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালাম।
আব্দুস সালাম ১৯৯৬ এবং ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয় লাভ করেছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিকভাবে বৈধ ঘোষিত হন। তবে তার বিরুদ্ধে বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদ খান আপিল করেন। আপিল নম্বর ৪৮৫/২০২৩। আপিলে আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থী আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির অভিযোগ আনা হয়।
প্রসঙ্গত, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অবৈধ প্রার্থীদের আপিল কার্যক্রম চলেছে ৫-৯ ডিসেম্বর। এসব আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে গত ১০ ডিসেম্বর। যা চলবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।