তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে: দুদু

এই বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন হবে

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে: দুদু


প্রথম নিউজ, ঢাকা : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে আশা প্রকাশ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এই বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন হবে। আপনার অধীনে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি আয়োজন করে ইয়ুথ ফোরাম।

দুদু বলেন, প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ভয় পাইছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঠেকানোর জন্য বিদেশ সফর শুরু করেছেন। কিন্তু কোনো লাভ হবে না।

তিনি বলেন, দেশ আজ ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতীয় সংসদ থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত নির্বাচন ব্যবস্থায় ধ্বংস হয়েছে। সকল পেশাজীবী সংগঠনের স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন হয় না, এমনকি মসজিদ কমিটি নির্বাচনের দলীয়করণ হয়।

দুদু বলেন, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, সেই আইনটা আপনারা পরিবর্তন করেছেন। ৯০ এর গণভোটের মাধ্যমে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছিল এদেশে মানুষ। প্রয়োজনে আবারো গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এদেশের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। এ ব্যাপারে কোনো আপস নাই।

তিনি বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) বলছেন বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করবেন না, কিন্তু বিএনপি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবে তো? কোথায় পেয়েছেন যে বিএনপি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবে? শুধু বিএনপি নয়, কোনো বিরোধী দলই প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করে না।

বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখল করে জনগণের ওপর জগদ্দল পাথরের ওপর চেপে বসেছে। দেশে গণতন্ত্র নাই, ভোটাধিকার নাই, মানুষের বাক-স্বাধীনতা নাই। বিরোধী দলকে নিচিহ্ন করার জন্য সবধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, রাজনীতিকভাবে পরাজিত হয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন বিদেশে ধরনা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগাঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয়াতাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি আমির হোসেন বাদসা, মৎসজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সারাজী, দেশ বাঁচাও-মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন। সঞ্চলনায় ছিলেন শরিফুল ইসলাম শরিফ।