Ad0111

ইসি পুনর্গঠন ‘ভোট চুরির’ প্রক্রিয়ার অংশ : আমীর খসরু

সকল বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ করেছে বিএনপি

ইসি পুনর্গঠন ‘ভোট চুরির’ প্রক্রিয়ার অংশ : আমীর খসরু

প্রথম নিউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি যে আলোচনা শুরু করছেন, সেটিকে আগামী নির্বাচনে ‘ভোট চুরি’র একটি প্রক্রিয়ার অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এখন নাকি আলোচনা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আলোচনা শুরু করেছেন। কীসের আলোচনা? যারা ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ তে ভোট চুরি করেছে- সেই চক্র আগামী নির্বাচন ভোট কীভাবে চুরি করবে সেই আলোচনা চলছে। এই আলোচনাটা মূলত হচ্ছে আগামী নির্বাচনের ভোট চুরির একটা প্রক্রিয়ার অংশ। এই চোরদের সাথে আরও কিছু ছেচড়া চোরও আছে। দেশের মানুষ নিবিড়ভাবে এই চোরদের পর্যবেক্ষণ করছে।

আজ শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলী বাজারে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি।  সমাবেশটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনে হওয়ার কথা ছিল। তবে ওই স্থানে একই সময়ে জেলা ছাত্রলীগও ছাত্র সমাবেশ ডাকে। এর পরে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন। এরপর শহরের ৫০টির বেশি পয়েন্টে আজ ভোর থেকে ৫ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সকাল থেকেই বিভিন্ন ধরনের বাস চলাচল বন্ধ থাকে। এ নিয়ে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে। দুপুরে শহরের বাইরে বিএনপি’র সমাবেশটি হয়। এতে বিভিন্নস্থানে বাধা পেড়িয়ে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা যোগ দেন।


আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন নাকি আলোচনা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আলোচনা শুরু করেছেন। কিসের আলোচনা? এই আলোচনাটা মূলত হচ্ছে আগামী নির্বাচনের ‘ভোট চুরির’ একটা প্রক্রিয়ার অংশ। দেশের মানুষ নিবিড়ভাবে এদের পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি আরও বলেন, বলতে চাই, সেই পথ থেকে সরে আসুন। বাংলাদেশ জেগে উঠেছে। কথায় আছে, চোরের দশ দিন আর গৃহস্থের এক দিন। এই দশ দিন পার হয়ে গেছে।
বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, '১৪৪ ধারা আর কোথায় দিয়ে লাভ হবে না। ধারার সময় শেষ হয়ে গেছে। অন্যান্য জায়গার মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও ধারা কাজ হয়নি। জোয়ার শুরু হলে বাধা দিয়ে রাখা যায় না।' শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি সাহসের সাথে আগামী দিনগুলোতে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, ১৪৪ ধারাকে অপেক্ষা করে, সরকারের চক্রান্তকে ভেঙ্গে দিয়ে সমাবেশে যুক্ত হয়েছেন তোর জন্য সকলকে ধন্যবাদ। ১৪৪ ধারা কেন আরো কোনা ধারা দিয়ে লাভ হবে না। ধারার সময় শেষ হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম, নারায়নগঞ্জসহ অন্যান্য জায়াগার মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও ধারা দিয়ে কাজ হয় নি। জোয়ার যখন শুরু হয় সেটিকে বাধ দিয়ে রক্ষা করা যায় না। তিনি আরো বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত সরকারকে চোখ-কান খুলা রাখার জন্য বলুন। সময় এসছে হত্যাকারী দূর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওযার। তাদেরকে বয়কট করতে হবে। সরকারকে বলছি আপনারা সংবিধানের যে শপথ নিয়ে জনগণের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন। বাংলাদেশের মানুষের ভোট কেড়ে নেওয়ার পক্রিয়ায় এই সরকার জড়িত হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চাচ্ছে। চোরদের ও ছেছড়া চোরদের বলতে চাই, জনগণ নিভিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। সেই পথ থেকে সরে আসুন।  সরকারি কর্মকর্তা উদ্দেশ্যে আমির খসরু বলেন, কাউকে ক্ষমতায় রাখার জন্য আপনারা সরকারি কর্মকর্তা হন না। সরকারি কর্মকর্তা হয়েছেন বাংলাদেশের জনগেণের সেবা করার জন্য। নেৎকার্মীদের উদ্দেশ্যে আমির খসরু বলেন, আপনারা সকলেই পর্যবেক্ষন করছেন। আপনারা সাহসের সাথে আগামী দিনগুলোতে দলীয় কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঐতিহাসিকভাবে জাতীয়তাবাদীর শক্তি । যারা রাজনৈতিকভাবে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয় তাদের জায়গা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হবে না। ভবিষ্যতে সকল অনৈতিক কর্মকান্ডগুলো প্রতিরোধ করব। যারা অনৈতিক কর্মকান্ডগুলো করছে তারা কেউই হোই পাবে না। বিদেশে পালালেও তাদের ছাড় দেয়া হবে না। এখনও সময় আছে দেশের পক্ষে দাড়ান।


বিএনপির সহ আন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এম.পি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন 'বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে হেঁটে গেছেন। এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন না। এর দায় সরকারকে নিতে হবে। এর আগে শনিবার সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে গাড়িতে রওনা দেন রুমিন ফারহানা। কিন্তু বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলায় পথে তাকে আটকে দেয় পুলিশ। পরে সেখান থেকে তাকে উজান ভাটি হোটেলে নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে সমাবেশ স্থলে বেলা ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে উপস্থিত হন রুমিন ফারহানা।  রুমিন ফারহানা সমাবেশ স্থলে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এর আগে ঢাকা থেকে ওই সমাবেশ স্থলে যাওয়ার সময় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে তাকে ‘অবরুদ্ধ’ করে পুলিশ।
জোলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, ওকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া এমপি বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব ও সাবেক প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এ কে একরামুজ্জামান প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, জেলা বিএনপির সদস্য রাজিব আহসান পাপ্পু, আক্তার হোসেন,কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান পলাশসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতার্কমীরা।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news