পটুয়াখালীতে আ’লীগ-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১০
আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. কামাল হোসেন বিশ্বাসের সমর্থক এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাদা হাওলাদারের সমর্থকের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়

প্রথম নিউজ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে নওমালা কলেজ সড়ক এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. কামাল হোসেন বিশ্বাসের সমর্থক এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাদা হাওলাদারের সমর্থকের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নওমালা ছয় নম্বর ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের আধিপত্য বেশি। শনিবার রাতে নৌকার সমর্থকেরা ওই এলাকায় ঢুকে পড়লে সাহা গাজীর বাড়ির সামনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।
আহতদের মধ্যে মো. সজীব (২০) নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদার। সজীব ওই ইউনিয়নের নিজবটকাজল গ্রামের বাসিন্দা নাসির প্যাদার ছেলে।
আহত সজিবকে পুলিশ উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. তাসিফুল ইসলাম বলেন, সজিবের অস্ত্রোপচার করতে হবে। অস্ত্রোপচারের আগে বলা যাবে না ওটা কি? এ কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তার ঘাঁড়ের বাঁ দিকে কিছু একটা ঢুকেছে এটি নিশ্চিত।
আহত সজিব বলেন, সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই নৌকার সমর্থক শাহাবুদ্দিন আকন (৪৬) গুলি ছোড়েন। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদার বলেন, ‘জনসমর্থন নেই বলে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছে নৌকার প্রার্থী ও তার সমর্থকেরা। তারা অবৈধ অস্ত্র ও কালো টাকার মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। পুলিশের উপস্থিতিতে আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর গুলি করে আহত করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেন বিশ্বাসকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়েছে। যা পুলিশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে গুলি ছোড়ার বিষয়টি সত্য নয়।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: