জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক পরিষদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা ভারতের
প্রথম নিউজ, ডেস্ক: জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক পরিষদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছে ভারত। এতে পাকিস্তানকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, এই দেশটি হলো সন্ত্রাসের এপিসেন্টার। তারা মানবাধিকারের সবচেয়ে নিকৃষ্ঠ লঙ্ঘনকারী। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপনের জন্য বুধবার মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি’রও কড়া সমালোচনা করেছে ভারত। অভিযোগ করেছে, এই গ্রুপটিকে পাকিস্তানের কাছে জিম্মি থাকতে অনুমোদন দিয়েছে নিজেরাই। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে ভারতীয় মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি পবন বধে বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ওআইসি যে রেফারেন্স দিয়েছে আমরা আরো একবার নিন্দার সঙ্গে তা প্রত্যাখ্যান করছি।
জম্মু ও কাশ্মীর হলো ভারতের অখ- অংশ। ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করার এক্তিয়ার নেই ওআইসির। অসহায়ের মতো পাকিস্তানের কাছে ওআইসিকে জিম্মি থাকতে অনুমোদন দিয়েছে নিজেরাই। জেনেভা চ্যাপ্টারে পাকিস্তান হলো চেয়ারম্যান। এর মধ্য দিয়ে তারা তাদের নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। পাকিস্তানকে এসব করতে দেয়া ওআইসির স্বার্থ কিনা সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এর সদস্যদের।
পাকিস্তান ও ওআইসি যেসব মন্তব্য করেছে তার বিরুদ্ধে উচ্চস্বরে জবাব দিচ্ছিলেন পবন বধে। তিনি বলেন, পাকিস্তান সরকার যেসব মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, এমনকি তারা যে ভূখ- দখল করেছে- সেখানে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে সরকার- তা থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। তিনি আরো বলেন- শিখ, হিন্দু, খ্রিস্টান এবং আহমাদিয়াসহ সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার যুবতী ও নারী অপহরণের শিকারে পরিণত হয়েছেন। তাদেরকে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়েছে। ধর্মান্তরিত করা হয়েছে।
পবন বধে বলেন, পাকিস্তান পর্যায়ক্রমিক নিষ্পেষণ চালিয়ে যাচ্ছে। জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করছে। টার্গেটেড হত্যাকা- চালাচ্ছে। আছে জাতিগত সহিংসতা। জাতি ও ধর্মীয় সংল্যালঘুদের বিরুদ্ধে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করা হচ্ছে। জাতিসংঘ যাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে অভিহিত করেছে তাদেরকে প্রকাশ্যে সমর্থন, প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন এবং অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হিসেবে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত পাকিস্তান। এটা হলো তাদের রাষ্ট্রীয় নীতি। প্রাসঙ্গিক বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়া, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ায় অবহেলার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গুরুত্বর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাকিস্তানের মতো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের কাছ থেকে ভারতের শিক্ষা নেয়ার মতো কিছু নেই। এ দেশটি হলো সন্ত্রাসের এপিস্টেটার। তারা মানবাধিকারের নিকৃষ্ঠ লঙ্ঘনকারী।
ভারতের আরোও অভিযোগ, ভিন্ন মতাবলম্বী নাগরিক সমাজ, মানবাধিকারের পক্ষের কর্মী, সাংবাদিকদের প্রতিদিনই কণ্ঠরোধ করা হয় পাকিস্তানে। এতে সমর্থন রয়েছে পাকিস্তান সরকারের।