এফবিআই ছাড়ার গুজব অস্বীকার করলেন কাশ প্যাটেল

এফবিআই ছাড়ার গুজব অস্বীকার করলেন কাশ প্যাটেল

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল গুজব অস্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন তিনি পদত্যাগ করছেন না। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশাসনের ভেতর ক্ষোভের গুঞ্জন ওঠে। বলা হয়, যৌন নির্যাতনকারী জেফরি এপেস্টিন সংক্রান্ত তদন্ত বন্ধ করে দেয়া ও কথিত ক্লায়েন্ট লিস্ট প্রকাশ না করার ঘোষণা নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত। কিন্তু জবাবে কাশ প্যাটেল স্পষ্ট করে বলেন, এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলো সত্য নয়, কোনো দিনও সত্য ছিল না। আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সেবা করতে পেরে গর্বিত। তিনি যতদিন রাখবেন, ততদিন আমি থাকব। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। 

গত সপ্তাহে মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন বা মেগা ঘরানার কট্টরপন্থীরা যেমন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য মারজোরি টেইলর গ্রিন, হোয়াইট হাউসের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন এবং এফবিআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর ড্যান বংগিনো প্রকাশ্যে এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি এবং এফবিআইয়ের যৌথ সিদ্ধান্ত- যা এপেস্টিনের মৃত্যু ও তার সম্পৃক্ততার সঙ্গে সম্পর্কিত অতিরিক্ত নথি, যেমন ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’, প্রকাশ না করার পক্ষে যুক্তি দেন। এতে হতাশা প্রকাশ করেন তারা। 

আইন মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এপেস্টিন আত্মহত্যাই করেছিলেন এবং তার কাছে থাকা কোনো তথাকথিত ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’ বা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মেমোতে বলা হয়, আমরা কোনো ধরনের ব্ল্যাকমেইলের প্রমাণ পাইনি, বা এমন কোনো তথ্য যা অপরিচিত তৃতীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলার ভিত্তি হতে পারে। 

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল টড ব্লাঞ্চ দাবি করেন, এফবিআই এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য নেই। তিনি বলেন, আমি কাশ ও বংগিনোর সঙ্গে একত্রে কাজ করেছি এই মেমো তৈরিতে। আমরা সবাই মেমো ও তার সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছি। তবে এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ড্যান বংগিনো নাকি পাম বন্ডির সঙ্গে উত্তপ্ত কথোপকথনের পর পদত্যাগের কথা ভাবছেন। 

ঘনিষ্ঠ এক সূত্র বলেছেন, বংগিনো রীতিমতো ক্ষিপ্ত। এটা তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি হুমকি দিচ্ছেন যে, পামকে বরখাস্ত করা না হলে, তিনি নিজেই পদত্যাগ করে তাকে প্রকাশ্যে ধ্বংস করে দেবেন। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নিজেও এপেস্টিন প্রসঙ্গে প্রশ্ন পেয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন। এক সাংবাদিক যখন জেল সেলের বাইরে ১ মিনিটের ভিডিও গ্যাপ সম্পর্কে জানতে চান, তিনি বলেন, তোমরা এখনো এই লোকটা নিয়ে কথা বলছো? এটা অবিশ্বাস্য। পাম বন্ডি ব্যাখ্যা দেন, ভিডিও গ্যাপটি আসলে প্রতিরাতে ক্যামেরা রিসেট হওয়ার প্রক্রিয়া।