চীনের জনসংখ্যা হ্রাসের নেপথ্যে কাজ করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ৩২ বছর বয়সী ট্রেসি লির জন্য বিয়ে এবং সন্তান ধারণ কখনোই জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ ছিল না। বেইজিংভিত্তিক একটি কোম্পানির মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক তার অন্যান্য সহকর্মীদের মতো পরিবার শুরু করার ঐতিহ্যবাহী পথ অনুসরণ করার পরিবর্তে একা থাকতেই পছন্দ করেন। তিনি একা নন। ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রায় ৩,০০০ শহুরে বাসিন্দার উপর করা এক জরিপে দেখা গেছে যে ১৮ থেকে ২৬ বছর বয়সী প্রায় ৪৪ শতাংশ অবিবাহিত নারীর হয় বিয়ে করার কোনও ইচ্ছা ছিল না অথবা বিয়ে হবে কিনা তা নিয়ে তারা অনিশ্চিত ছিলেন। শিশু যত্ন এবং শিক্ষা ব্যয়ের পাশাপাশি পরিবার গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সময় এবং শক্তির কথা উল্লেখ করে লি বলেন, নারীদের জন্য সন্তান জন্মদানের খরচ দৃশ্যত অনেক বেশি, যার ফলে সমাজে জন্মহার কম।
প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য অবিবাহিত থাকার চ্যালেঞ্জগুলো গ্রহণ করার জন্য লি-এর মতো আরো অনেকের সংকল্প এবং আত্মবিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অগ্রগতির সাথে সাথে, লি বিশ্বাস করেন যে, এটি মানসিক সাহচর্য এবং বয়স্কদের যত্নের মতো চাহিদা পূরণ করবে। তিনি বলেন, এআই ইতিমধ্যেই মানসিক সাহচর্য প্রদান করতে পারে। আরও ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, আমার প্রজন্ম যখন বৃদ্ধ হবে তখন আমি বিশ্বাস করি যে বয়স্কদের যত্ন নেয়ার জন্য গৃহস্থালীতে কাজ করা রোবটের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং সেগুলো সাশ্রয়ী হবে।
চীনের জনসংখ্যা হ্রাসের কারণ হিসেবে বিবাহ এবং সন্তান ধারণের জন্য প্রণোদনা কমিয়ে আনার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যাপকভাবে দায়ী করা হয়, কারণ এটি মানসিক সাহচর্য প্রদান এবং বয়স্কদের যত্ন নেয়ার মতো মানবিক ভূমিকা প্রতিস্থাপন করে। তবে একজন শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ যুক্তি দেন যে, এই প্রযুক্তিগত পরিবর্তন খারাপ নাও হতে পারে।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা বিশিষ্ট গবেষক লি জিয়ানসিন বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জীবন, মৃত্যু এবং পারিবারিক কাঠামোকে মৌলিকভাবে পুনর্নির্ধারণ করার সম্ভাবনা রাখে- যা জনসংখ্যা হ্রাস সম্পর্কে ঐতিহ্যবাহী উদ্বেগগুলোকে কাটিয়ে উঠতে পারে। ট্রেসি লির মতো তরুণ চীনারা অনেকেই এআই সম্পর্কে আশাবাদী।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চীনের জনসংখ্যাগত সমস্যা এবং নীতি নিয়ে অধ্যয়নরত অধ্যাপক লি গত মাসে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তার মতামত বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘জনসংখ্যার প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি জন্ম ও মৃত্যুহারের মতো বিষয়গুলোর পরিবর্তনের উপর নির্ভরশীল। তবে, আজকের সমাজ শিল্প থেকে বুদ্ধিমান সমাজে রূপান্তরিত হচ্ছে, যা জন্ম ও মৃত্যুর জৈবিক ধারণাগুলোকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্গঠিত করতে পারে বা উল্টেও দিতে পারে।’
লির মতে, আজকের সমাজ যে সংকুচিত এবং বয়স্ক জনসংখ্যার বিষয়ে উদ্বিগ্ন, ভবিষ্যতে তা সমস্যা নাও হতে পারে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দ্বারা চালিত হয়ে নতুন সমাধানের সূত্রপাত ঘটতে পারে।
কম জনসংখ্যার সাথে লড়াই করা দেশগুলোর জন্য বিশেষ করে চীনের জন্য এটি সুসংবাদ হতে পারে। এই বছরের শুরুতে চীনা ভাষার একাডেমিক জার্নাল অফ জিনইয়াং-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে লি ভবিষ্যতে জনসংখ্যার আকার এবং কাঠামোর উপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির কিছু সম্ভাব্য প্রভাবের রূপরেখা তুলে ধরেন।
একটি ক্ষেত্র যেখানে ইতিমধ্যেই এআই প্রয়োগ করা হচ্ছে তা হল ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF)। লি জিয়ানসিনের গবেষণাপত্র অনুসারে, যদি এই প্রযুক্তি উচ্চমানের ভ্রূণ শনাক্ত করতে এবং আইভিএফ -এর সাফল্যের হার উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে, তাহলে এর ফলে আরও বেশি শিশুর জন্ম হতে পারে। তবে, গবেষণায় স্বীকার করা হয়েছে যে বিদ্যমান গবেষণা মোতাবেক, এই ধরনের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এখনও উর্বরতার হার বৃদ্ধিতে সীমিত প্রভাব ফেলতে পারে। আরেকটি সম্ভাবনা হল, কাস্টমাইজড বুদ্ধিমান রোবটগুলো পারিবারিক ভূমিকা পালন করতে পারে। যেমন একজন সঙ্গী বা সন্তানের ভূমিকা পালনকারী ‘মানব-যন্ত্র’ নতুন পারিবারিক কাঠামো তৈরি করতে পারে। এই অর্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভিন্ন মাত্রায় মানুষের ভূমিকা প্রতিস্থাপন করতে পারে। মানুষ এবং বুদ্ধিমান যন্ত্রের সহাবস্থান মানুষের সামাজিক সম্পর্ককে বদলে দিতে পারে বলে মনে করেন লি।
অন্যদিকে, ভবিষ্যতে প্রযুক্তির মাধ্যমে মৃত্যুকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ডিজিটাল অমরত্বের ধারণা বাস্তবায়িত হবে এবং বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর ঝুঁকি আর বাড়বে না। কারণ এআই দ্বারা চিকিৎসা উন্নয়ন উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত হবে। লি বলেন, এআই যুগের প্রভাব হবে ব্যাপক। নীতিনির্ধারকরা আর অতীতের কাঠামোর সাথে তুলনা করে জনসংখ্যাগত বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে পারবেন না। লি আশা করেছিলেন যে, এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হওয়ার পর আলোচনা শুরু হবে, কিন্তু তা হয়নি। তিনি বলেন, বেশিরভাগ মানুষ এখনও এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেননি। বিশ্বের বেশিরভাগ অংশেই কম জন্ম ও মৃত্যুহার পরিলক্ষিত হয়, যা সেইসব দেশে ব্যাপক শিল্পায়ন এবং নগরায়ণের ফলে পরিচালিত হয়েছে। তবে, চীনে কয়েক দশক ধরে নীতিগত সিদ্ধান্তের কারণে এই প্রক্রিয়াটি আরও তীব্র এবং দ্রুত হয়েছে। বিশেষ করে ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে চালু হওয়া এক-সন্তান নীতি যা মাত্র ১০ বছরেরও কম সময় আগে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনগুলোও একটি ভূমিকা পালন করেছে।
৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সামগ্রিক উর্বরতা হার প্রতিস্থাপন স্তরের নিচে থাকার পর, ২০২১ সালে চীনের জনসংখ্যা ১.৪২৬ বিলিয়নে পৌঁছায় এবং প্রবৃদ্ধির হার নেতিবাচক পর্যায়ে প্রবেশ করে। ইতিমধ্যে, কর্মক্ষম জনসংখ্যা যাদের বয়স ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে, গত ১২ বছরে ৭ কোটিরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় চীনের বয়স কয়েকগুণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা তৈরি করছে। সেইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, গত বছরের শেষ নাগাদ ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী চীনাদের সংখ্যা ৩০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে যা মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ। ২০৪০ সালের মধ্যে এই হার ২৮ শতাংশে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কীভাবে সমাজকে পুনর্গঠিত করতে পারে , তা নিয়ে জনসংখ্যাবিদ এবং অর্থনীতিবিদরা বিতর্ক করছেন। চীনের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক লি টিং-এর মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দুটি প্রধান পথের মাধ্যমে চীনের বর্তমান জনসংখ্যা কাঠামোকে শক্তিশালী করবে। তিনি গত জুলাই মাসে কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেইলির সাথে সম্পর্কিত জার্নাল পিপলস ট্রিবিউনে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে তার মতামত উপস্থাপন করেছিলেন।
তিনি লিখেছেন, উন্নত সেবা সহায়তা ব্যবস্থা প্রদানের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষকে বিয়ে করতে এবং সন্তান ধারণে কম আগ্রহী করে তুলতে পারে। এদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারা চিকিৎসা প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন এবং অগ্রগতি আয়ুষ্কাল বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে, জনসংখ্যার বার্ধক্য আরও বাড়িয়ে তুলবে। চীন বয়স্কদের যত্ন নেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে একাধিক নীতিমালা চালু করেছে। যার মধ্যে গত মাসের গোড়ার দিকে একটি পাইলট প্রোগ্রামও রয়েছে। এর লক্ষ্য বয়স্কদের যত্নের চাপ কমাতে রোবট স্থাপনের গতি বাড়ানো।নীতিগত সহায়তা এবং বাজারের চাহিদার দ্বারা উৎসাহিত হয়ে, চীনা রোবট নির্মাতারা এই সেক্টরে ভিড় জমাচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ, জুন মাসে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, জিয়াংসু প্রদেশের উক্সিতে একটি প্রযুক্তি কোম্পানি দ্বারা বয়স্কদের যত্ন নেয়ার জন্য তৈরি স্মার্ট রোবট, কেউ পড়ে গেলে তা দ্রুত বুঝতে সক্ষম। তাৎক্ষণিকভাবে একটি সতর্কতা জারি করতেও সক্ষম। রাতে একজন বয়স্ক ব্যক্তির হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং অন্যান্য অবস্থা রিয়েল টাইমে ট্র্যাক করতে পারে এই রোবট।রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লি আশাবাদী, তার মতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জনসংখ্যা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্ককে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করতে পারে।
তিনি বলেন, এই প্রযুক্তি চীনের জনসংখ্যাগত গতিশীলতাকে আরও ভালোভাবে মোকাবেলা করতে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করতে পারে - যার মধ্যে রয়েছে শারীরিক ও মানসিক উভয় ধরণের মানব শ্রম প্রতিস্থাপন বয়স্কদের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং কর্মজীবন বৃদ্ধি, পাশাপাশি ব্যক্তিগত বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি। তার গবেষণা পত্র অনুসারে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্যারিয়ার পরিকল্পনা এবং কর্মসংস্থান নির্দেশিকা প্রদান করতে পারে, যা চাকরিপ্রার্থীদের শ্রমবাজারের চাহিদার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করে।
তবে বাস্তব দিকটা আরও জটিল হতে পারে। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যাতাত্ত্বিক লি উল্লেখ করেছেন যে, আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও, একটি বয়স্ক সমাজের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ এবং ব্যয়ও বাড়বে। তিনি তার গবেষণাপত্রে সতর্ক করে দিয়েছেন, এআই যুগে জনসংখ্যার গতিশীলতার ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা আসবে। ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা মোকাবেলায় আরও ভালভাবে সাড়া দেয়ার জন্য আমাদের দূরদর্শী, পদ্ধতিগত পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। কিছু বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেছেন যে, একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিস্থিতিতে এআই আগামী কয়েক শতাব্দীতে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার এক বিপর্যয়কর হ্রাস ঘটাতে পারে।
ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক সুভাষ কাক বলেন, বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। যা আজ ৮ বিলিয়ন থেকে ২৩০০ সালের দিকে ১০ কোটিরও কম হবে।যেহেতু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্রুত বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের স্থান নিচ্ছে , তাই আশা করা হচ্ছে যে যত দিন যাবে মানুষ সন্তান ধারণে আরও বেশি অনিচ্ছুক হয়ে পড়বে, বিশেষ করে পরিবার গঠনের বিশাল খরচের কারণে।বৃটিশ সংবাদপত্র দ্য সান-এর সাথে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে কাক বলেছেন, এটি বৈশ্বিক সমাজের জন্য ধ্বংসাত্মক হতে চলেছে। আমার মনে হয় মানুষের আসলে এ বিষয়ে কোনও ধারণা নেই।
তিনি বলেন, ইউরোপ, চীন, জাপান এবং বর্তমানে জনসংখ্যার সবচেয়ে দ্রুত হ্রাস দক্ষিণ কোরিয়ায় ঘটছে। দক্ষিণ চীন ভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, ইউওয়া পপুলেশন রিসার্চের প্রধান গবেষক হুয়াং ওয়েনঝেং বলেছেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একদিন কম জন্মহারের ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে দিতে পারবে বলে একটি ধারণা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে, সেই ধারণা উড়িয়ে দিয়েছেন হুয়াং। তিনি বিশ্বাস করেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে জনসংখ্যার স্কেল আসলে আরও গুরুত্বপূর্ণ হবে। কারণ আজকের বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতায় জনসংখ্যার আকার ‘জীবন-মৃত্যুর বিষয়’। সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট