ইমামকে পছন্দ না হওয়ায় কুপিয়ে জখম 

 ইমামকে পছন্দ না হওয়ায় কুপিয়ে জখম 

প্রথম নিউজ, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জে মসজিদে ইমামকে পছন্দ না হওয়ায় কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের চংশোলাকিয়া এলাকার পঁচুশাহ মসজিদে সামনে এ ঘটনা ঘটে।  

এ সময় ইমামকে বাঁচতে গিয়ে মুয়াজ্জিনও আহত হন। এ ঘটনায় এলাকাবাসী দুজনকে আটক করে পুলিশ দিয়েছেন।

আহত ইমাম হাফেজ মাওলানা রবিউল ইসলাম (৩৭) জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুরের বাসিন্দা। তিনি পঁচুশাহ মসজিদের আড়াই বছর ধরে ইমামতি করে আসছেন। আহত মুয়াজ্জিন আরমান মিয়া (২৫) সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের চংশোলাকিয়া এলাকার দস্তর আলীর ছেলে।

অভিযুক্ত দুইজন হলেন- সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের চংশোলাকিয়া এলাকার মুন্সির ছেলে নূরুল আমীন (৪৫) ও একই এলাকার আজিম উদদীনের ছেলে রমজান মিয়া (২৫)। 

মসজিদের অপর ইমাম মাজহারুল হক জানায়, গত আড়াই বছর যাবত হাফেজ মাওলানা রবিউল ইসলাম পঁচুশাহ মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত আছেন। শুরু থেকেই ইমামকে নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ করে আসছিলেন নুরুল আমিন ও রমজান আলী। সেই ক্ষোভ থেকে সকালে মসজিদের সামনে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমাম রবিউল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করে। এসময় মোয়াজ্জিন আরমান ইমামকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা দুজনকে আটক করে পুলিশের খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

মহিনন্দ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য তাফাজ্জল হোসেন শামীম কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে আহত ইমাম বলেন, কথা-কাটাকাটির জেরে তাকে পেছন থেকে কোপ দিয়েছে। এসময় আরমান আমাকে বাঁচতে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে নূরল আমীন। 

মসজিদ কমিটি সাধারণ সম্পাদক মো. রহমতুল্লাহ জানান, অভিযুক্ত নুরুল আমিন ঢাকায় থাকেন। মাঝে মধ্যে বাড়িতে এসে বলতেন, এই মসজিদ থেকে চলে যান। এর আগেও তিনি এই মসজিদে অন্য ইমামদেরকে অপদস্ত করেছেন। দুই দিন আগে মসজিদে ইমাম রবিউল ইসলামকে বলেছেন মসজিদ থেকে চলে যেতে। না গেলে তাকেও অপদস্ত করা হবে। এ বিষয়টি ইমাম মসজিদ কমিটির লোকজদেরকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু আজকে সকালে নূরুল আমীন ইমামকে কুপিয়ে জখম করে। 

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় এলাকাবাসী দুজনকে আটকে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।