ইডেনের ছাত্রীর ৫ দিন ধরে অনশন, পালিয়েছে প্রেমিক

প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়েছে প্রেমিক।

ইডেনের ছাত্রীর ৫ দিন ধরে অনশন, পালিয়েছে প্রেমিক

প্রথম নিউজ, ভোলা: চরফ্যাশনে মিজানুর রহমান তৈয়ব নামের এক প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ৫ দিন যাবত অনশন করছেন ঢাকা মিরপুর-১০ থেকে আসা ইডেন কলেজের এক ছাত্রী। প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়েছে প্রেমিক। জানা যায়, প্রেমিক মিজানুর রহমান তৈয়ব উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোজাম্মেল হাওলাদারের ছেলে। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য ঢাকায় থাকতেন। চাকরির এক পরীক্ষার হলে এই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় মিজানের। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক।

দীর্ঘদিন যাবত প্রেম ও পরে প্রেমিকাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন মিজান। তিন মাস পূর্বে তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকরি হয় তার। চাকরির পর থেকে ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করে তার মোবাইল নম্বর, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার ব্লক করে দেয়। কোনোভাবে যোগাযোগ করতে না পেরে তরুণী গত ১৭ এপ্রিল প্রেমিকের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন।

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, আমি অনার্স-মাস্টার্স পাশ করে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করছি। মিজানের চাকরির পূর্বে তার প্রতি মাসের খরচ আমার থেকে নিয়েছে। আমি ওকে বিশ্বাস করে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে ভালো রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় মিজান আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমাদের সম্পর্ক অস্বীকার করছে। তরুণী আরও বলেন, আমি বিয়ের দাবিতে মিজানের বাড়িতে এসেছি। আমাদের বিয়ে না হলে আমি লাশ হয়ে এই বাড়ি থেকে যাব। মিজানের বাবা ও বড়ভাই বলেন, আমরা মেয়েকে নিরাপদে আমাদের বাসায় রেখেছি। মিজান পালিয়ে আছে। তার সব মোবাইল নম্বর বন্ধ করে রেখেছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে তাকে এনে বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

ওমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আমি খবর পেয়ে সেই বাড়িতে গিয়েছি। মেয়ে ও ছেলের পরিবারের বক্তব্য শুনেছি। মিজানকে এনে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে তার পরিবারকে কঠোরভাবে বলা হয়েছে।

চরফ্যাশন থাকান ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরিন হক বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম অনশনকারী তরুণীকে মিজানের বাবার জিম্মায় রেখেছেন।