আ.লীগকে সবসময় উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, যতবার গ্রেপ্তার হয়েছি, ততবারই নেতাকর্মীদের উদ্দেশে চিঠি দিয়েছি। চিঠির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি। দেশবাসীকে চিঠি দিয়েছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা সবসময় ঠিক থাকে। এটা বাবার সময়ও দেখেছি।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগকে সবসময় উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে। কারও কাছে কোনোদিন মাথানত করিনি, জীবনও ভিক্ষা চাইনি। এক এগারোর সেনা সমর্থিত ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন ও চাপে বাধ্য হয় মুক্তি দিতে’।
আজ শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারামুক্ত দিবস উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যতবার গ্রেপ্তার হয়েছি, ততবারই নেতাকর্মীদের উদ্দেশে চিঠি দিয়েছি। চিঠির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি। দেশবাসীকে চিঠি দিয়েছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা সবসময় ঠিক থাকে। এটা বাবার সময়ও দেখেছি। তিনি বলেন, দেশে ফেরার পর ৮৩ সালে এরেস্ট (গ্রেপ্তার) করা হয়। ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। কারও কাছে কোনোদিন মাথানত করিনি, জীবন ভিক্ষা চাইনি। আমি পরিবার থেকে, বাবার কাছ থেকে এটা শিখছি যে কারও কাছে, কোনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করব না।
‘আমরা এখন সরকারে। জনমানুষের কল্যাণ আমরা বুঝি, সেটাই করে যাচ্ছি। আজ প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। মানুষ শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে সঠিকভাবে। আমরা একটি বাজেট দিয়েছি। উন্নত দেশে জিডিপি মাইনাসে। অথচ আমরা সেটি পাঁচ ভাগের ওপরে রেখেছি। আন্তর্জাতিকভাবে এত বাধা, তবুও নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করেছি। তারপরও কিছু মানুষ এটিকে অর্জন হিসেবে নিতে পারে না।’
এ সময় প্রশ্ন করে শেখ হাসিনা বলেন, কেন তাদের এই দৈনতা? বিনা পয়সায় টিকা দিয়েছি, বিনা পয়সায় যাদের ভ্যাকসিন দিয়ে তরতাজা করেছি, তারাই এখন সমালোচনা করছে। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন। এ স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না। আমরা আমাদের কাজ করে যাবো। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে যাবো। যে যাই বলুক, আমরা আমাদের কাজ করে যাবো। প্রজন্মের পর প্রজন্ম পর্যন্ত যেন সুফল পায় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ১০০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করেছি।’
গণভবনে দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুভেচ্ছা বক্তব্যে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস বলে আখ্যা দেন তিনি।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস। এ দিন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করেছে। শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাঙালি ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তোমার মিথ্যাচার করো, আমরা কাজ করে জবাব দেই।
এর আগে, শনিবার পৌনে ১২টায় শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। প্রথমে আওয়ামী লীগ নেতারা, পরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), তাঁতী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ এবং গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তারা তাকে শুভেচ্ছা জানান।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews