আ. লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই নেতাকর্মীরা লুটপাট করেছে: টুকু

তিনি বলেন, ১৯৭৩-৭৪ সালে তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে গণতন্ত্র এনে দিয়েছিল।

আ. লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই নেতাকর্মীরা লুটপাট করেছে: টুকু
বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

প্রথম নিউজ, চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই তাদের নেতাকর্মীরা লুটপাট করেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ।

আজ সোমবার বিকেলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীর পলোগ্রাউন্ড স্কুল সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই তাদের নেতাকর্মীরা লুটপাট করেছে, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। ১৯৭৩-৭৪ সালে তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে গণতন্ত্র এনে দিয়েছিল। কিন্তু সেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আজকের আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো তফাৎ নেই। 
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন জনগণের ভোটের মাধ্যমে। আর আজকের প্রধানমন্ত্রী তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন জনগণের ভোটচুরি করে। এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো মায়া দয়া নেই। কারণ তাদের ভোটের প্রয়োজন নেই। যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে, আপনারা আর কোনোদিন ভোট দিতে পারবেন না। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যখন নির্বাচন হবে, সেদিনই বাংলার জনগণ ভোট দিতে পারবে। ইনশাল্লাহ বিএনপি সেদিন সরকার গঠন করবে। বিএনপি নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না।

যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বীর চট্টলা আমাদের আবেগ-অনুভূতির জায়াগা। এই চট্টগ্রাম থেকে এরশাদের পতন হয়েছে, শেখ হাসিনার পতন হবে। আমরা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার কর্মী, আর আওয়ামীলীগ হচ্ছে লুটপাটকারী দল। গণতন্ত্র ধ্বংসকারী। বেগম খালেদা জিয়া নয় বছর আন্দোলন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, আর শেখ হাসিনা তা ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশ যখন বিপদে পড়েছে জিয়া পরিবার হাল ধরেছে। এই করোনাযাও আওয়ামী লীগের লোকজন লুটপাট ছাড়ে নাই। তাই তারেক রহমান বলে দিয়েছেন, বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে।
 চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহবায়ক জনতার মেয়র ডা.শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্করের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বা, বিএনপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান শামীম,কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, আবু সুফিয়ান,এমএ আজিজ, এডভোকেট আবদুস সাত্তার,এস এম সাইফুল আলম,এসকেকোতা তোতন,নাজিমুর রহমান,শফিকুর রহমান স্বপন,কাজী বেলাল,ইয়াছিন চৌধুরী লিটন,মোহাম্মদ শাহআলম, আবদুল মন্নান,ইস্কান্দর মির্জা, কামরুল ইসলাম,শেখ নুরুল্লাহ বাহার,মোহাম্মদ  আলমগির,মোশারফ হোসেন দিপ্তি, মোহাম্মদ রাসেদ,মোহাম্মদ সাহেদ,বেলায়েত হোসেন বুলু,ফাতেমা বাদশা,মনোয়ারা বেগম মনি,জেলি চৌধুরী, মোহাম্মদ সাইফুল আলম,শরিফুল ইসলাম তুহিন,হাজী নুরুল হক প্রমুখ।
 দুপুর ২ টা থেকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ব্যানার নিয়ে সমাবেশে আসতে থাকে।৩ টায় সমাবেশ স্থল ভরে উঠে। সকলের মুখে মুখে শ্লোগান ছিল দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়লো কেন শেখ হাসিনা জবাব চাই।মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom