সরকার হটানোর আন্দোলনে দেশপ্রেমিক সকলের ঐক্য প্রয়োজন: ড. মোশাররফ
ঐক্য গ্রহন করার জন্য আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে
প্রথম নিউজ, ঢাকা: সরকার হটানোর আন্দোলনে গণতান্ত্রিক-দেশপ্রেমিক শক্তির ‘জাতীয় ঐক্য’ চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সামনে আজকে একটাই চ্যালেঞ্জ সেটা হচ্ছে যত দুর্নীতি-দুযোর্গ, গুম-খুন, রাহজানি-চাঁদাবাজী- সব কিছু থেকে মুক্তি পেতে হলে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা করতে হলে এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে এটা কখনোই সম্ভব হবে না। অতীতে তার প্রমাণ আছে। অতত্রব এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। তার জন্য জন্য জাতীয় ঐক্য,তার জন্য প্রয়োজন আমাদের সকলের যারা গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক তাদের সকলের ঐক্য প্রয়োজন। এই ঐক্য গ্রহন করার জন্য আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে।”
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সামনে দেশে যদি একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার না হয় এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আর বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক দলগুলো সেই নির্বাচনে যাবে না। আমাদের্ এক কথা বলে দিচ্ছি- নির্দলীয় সরকার না হলে আমরা নির্বাচনে যাবো না, সংলাপেরও প্রশ্ন নেই। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে তারা নির্দলীয় সরকার দেবে না। সেজন্য আমাদেরকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। আপনারা বিএনপির সাহসের কথা বলেন। ইনশাল্লাহ তারেক রহমানের সাহস, বেগম খালেদা জিয়ার সাহস এবং এদেশের গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক জনগণের নেতাদের সাহস ভবিষ্যতে শেখ হাসিনা দেখবেন আমার বিশ্বাস।”
৭ নভেম্বরের আকাংখাকে সরকার ভুলন্ঠিত করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সম্বন্ধে তারা(ক্ষমতাসীনরা) বলে তিনি নাকী ক্যু করে ক্ষমতায় এসেছে, জিয়াউর রহমান মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছে, সিপাহী হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছে। এগুলো সম্পূর্ণ বর্তমান প্রজন্মকে, জনগণকে বিভ্রান্ত করার আজকে আওয়ামী লীগ যে অনেক ব্যাপারে ইতিহাসকে বিকৃত করছে, সেই ইতিহাস বিকৃত করছে। আমাদের দায়িত্ব প্রকৃত ঘটনা জনগনের কাছে তুলে ধরা। ৭ নভেম্বরের চেতনা নিয়ে আমাদেরকে দেশ ও জাতি সম্বন্ধে চিন্তা করতে হবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের যে আকাংখা, ৭ নভেম্বরের যে আকাংখা এগুলোর সাথে আমাদের দল আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা সম্পূর্ণভাবে ফ্রন্টে থেকে জড়িত। আর যারা চেতনার কথা বলে তারা কিন্তু মানুষের মুখে, বইয়ে পড়ে এইসব চেতনা তাদের সৃষ্টি হয়। মুক্তিযুদ্ধের আকাংখা ও ৭ নভেম্বরের আকাংখাকে ভুলন্ঠিত করেছে ১৯৭২ থেকে ৭৫ সালের আওয়ামী লীগ এবং আবার বর্তমান আওয়ামী লীগ।আজকে এই দিবসটিকে স্মরণ করতে গিয়ে তার অন্তরনিহিত গুরত্বকে আমরা উপলব্ধি করে আগামী দিনে আমাদের সকলের প্রয়োজন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা, এদেশের মানুষের কথা বলার অধিকারকে পুনরুদ্ধার করা, এদেশের মানুষের চিন্তার অধিকারকে পুনরুদ্ধার করা, এদেশের মানুষকে সার্বিকভাবে মুক্তি করা। এটা করতে হলে আজকে যারা সরকারে আছে তাদেরকে রেখে তা সম্ভব নয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান মসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সুলতানা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপন, কৃষক দল নেতা এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: