অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় এসকে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৭ জানুয়ারি
দুদকের আদালত নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মো. জুলফিকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহা) বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়া ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ২৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। দুদকের আদালত নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মো. জুলফিকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার খান বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
দুদক সূত্র জানায়, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার নিজ নামে রাজউক উত্তরা আবাসিক এলাকায় একটি প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন। পরে তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামে রাজউক পূর্বাচল প্রকল্পে প্লটের জন্য আবেদন করিয়ে তিন কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিন কাঠার প্লটটিকে তিনি পাঁচ কাঠায় উন্নীত করিয়েছিলেন। সেটি আবার পূর্বাচল থেকে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর সড়কের ১/এ প্লটে স্থানান্তর করে রাজউক থেকে অনুমোদন করিয়ে নেন। তিনি নিজেই এই প্লটের জন্য ৭৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।
দুদক সূত্র আরও জানায়, দুদকের অনুসন্ধানে একজন প্রকৌশলীকে দিয়ে নিরীক্ষা করিয়ে দেখা যায়, ৯ তলা ওই ভবন নির্মাণে মোট ৬ কোটি ৩১ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। প্লটের মূল্য হিসেবে রাজউকে জমা দেওয়া ৭৫ লাখ টাকাসহ মোট ব্যয় হয়েছে ৭ কোটি ৬ লাখ টাকা। এই নির্মাণ ব্যয়ের মধ্যে তিনি জনৈক খালেদা চৌধুরীর কাছ থেকে ফ্যাট বিক্রি বাবদ অগ্রিম ৭০ লাখ টাকা নিয়েছেন। এছাড়া জনৈক শঙ্খজিত সিংহের নামে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ৭৮ লাখ টাকা স্থায়ী ও নগদে জমা ছিল। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোট ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা নিজের ভাই ও আত্মীয়দের নামে অবৈধভাবে অর্জন করেছিলেন। এই আয়ের বৈধ কোনও উৎস নেই এবং তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
দুদক আরও জানায়, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অবৈধ পন্থায় অর্জিত অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তির হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: