আবরার হত্যা মামলার রায় কাল
সহপাঠী ও শিক্ষকদেরও প্রত্যাশা, রায়ের মধ্য দিয়ে শিক্ষাঙ্গনে র্যাগিং বন্ধ হোক।

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় দীর্ঘ দুই বছরের বিচার প্রক্রিয়া শেষে রায় রবিবার (২৮ নভেম্বর)। আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের প্রত্যাশা করেছেন তার পরিবার। সহপাঠী ও শিক্ষকদেরও প্রত্যাশা, রায়ের মধ্য দিয়ে শিক্ষাঙ্গনে র্যাগিং বন্ধ হোক।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে, বুয়েটের শেরেবাংলা হলে পিটিয়ে হত্যা করা হয় মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। বারবার প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানালেও থামেনি পাষণ্ডরা। ৬ ঘণ্টা নির্যাতনের পর মারা গেলে হলের দোতলা ও নিচতলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয় আবরারের লাশ। সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে এ দৃশ্য। শনাক্ত করা হয় আসামিদের।
পোস্টমর্টেমকারী চিকিৎসক আদালতে জানান- মাথা, বুকসহ পুরো শরীরে হাতুড়ি, ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও স্কিপিং রোপের নির্মম আঘাতের কারণেই মারা যান আবরার।
দীর্ঘ ২ বছর বিচারপ্রক্রিয়া শেষে রোববার আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করবেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ের আগ মুহূর্তে সন্তানহারা বাবা-মায়ের আর্তনাদ ন্যায়বিচারের। চান হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড।
সহপাঠীর বিচারের দাবিতে সে সময় রাজপথে আন্দোলনে নামে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। দেশজুড়ে ছাত্র রাজনীতির নামে অপরাজনীতি ও র্যাগিং বন্ধের দাবিও উঠে। এবার তাদের প্রত্যাশা-রায়ের মধ্য দিয়ে র্যাংগিং মুক্ত হবে দেশের শিক্ষাঙ্গন।
আলোচিত এ মামলায় বাবাসহ ৪৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৮ জন। রাষ্ট্রপক্ষের দাবি- ২৫ আসামির অপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছেন তারা।
আবরার হত্যা মামলায় ২২ আসামি কারাগারে আছেন, পলাতক এখনো ৩ জন। আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: