Ad0111

অভিনেতা সোহেল খানের ছেলের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা

গত রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। মামলা নম্বর ১৪। পরদিন ২১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) অভিযুক্ত সফলকে গ্রেফতার করে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ।

অভিনেতা সোহেল খানের ছেলের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা
মুশফিকুর রহমান খান সফল

প্রথম নিউজ, ঢাকা: নাট্যাভিনেতা সোহেল খানের ছেলে মুশফিকুর রহমান খান সফলের (২৫) বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

ভুক্তভোগী তরুণীর করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্ষণের পর মোবাইলে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সফল খান। টাকা না দেওয়ায় সেই ভিডিও ওই তরুণীর স্বজনদের মোবাইলে পাঠিয়ে দিয়ে উল্টো হত্যার হুমকি দেন অভিযুক্ত সফল।  গত রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। মামলা নম্বর ১৪। পরদিন ২১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) অভিযুক্ত সফলকে গ্রেফতার করে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ।

ওই দিনই আদালতে সোপর্দের পর সফল খানকে দুইদিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা ও ভিডিও ছড়ানোর প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করার কথা রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে সফল খানের সঙ্গে মাটিকাটা এলাকায় পরিচয় হয় ভুক্তভোগী তরুণীর। সেসময় বোনের বাসায় থাকতেন অভিযুক্ত সফল। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে হোয়াটস অ্যাপে যোগাযোগ হতো। এক পর্যায়ে তাদের বন্ধুত্ব হয়। বাসা পরিবর্তনের পর ২০১৯ সালের শুরুর দিকে সফল খানের বোন সেই বাসায় যেতে বলে। যাওয়ার পর সফল এবং ওই তরুণীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। সেই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে রাখে সফল খান।

শুধু তাই নয়, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি বিকেল পাঁচটায় সফল খান উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার ১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর রোডের ১২ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত সিভিস ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলে নিয়ে ফের ধর্ষণ করেন। এরপর ওই তরুণীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ধর্ষণের ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

সফল খান টাকা না পেয়ে ওই তরুণীর চাচী ও চাচাতো ভাইয়ের মোবাইলে সেই ভিডিও পাঠিয়ে দেন। একপর্যায়ে নিজের স্ত্রী দাবি করে ওই তরুণীর স্বামীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং হত্যার হুমকি দেন।

এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি কাজী সাহান হক বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা অভিযুক্তকে দুইদিন জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগীর করা অভিযোগের বেশ কিছু প্রমাণ আমরা পেয়েছি। আপত্তিকর ভিডিও ধারণের তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। ঘটনার সঙ্গে সফলের সংশ্লিষ্টতা আমরা পেয়েছি। অনেক কিছু তিনি স্বীকারও করেছেন। রিমান্ড শেষে আমরা আগামীকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করব।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news