অনুমতি না পেলেও বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে জামায়াত
পুলিশ আসার আগেই দ্রুত কর্মসূচি শেষ করে চলে যান নেতাকর্মীরা।
প্রথম নিউজ, রাজশাহী: কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি পালন করতে রাজশাহী নগর পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল জামায়াতে ইসলামী, কিন্তু অনুমতি পায়নি। অনুমতি না পেলেও জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা শুক্রবার সকালে কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি পালন করেছে। পুলিশ আসার আগেই দ্রুত কর্মসূচি শেষ করে চলে যান নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ-সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে গত মঙ্গলবার রাজশাহী নগর পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরে গিয়ে লিখিত আবেদন জানান জামায়াত নেতারা। দীর্ঘদিন পর রাজশাহীতে কর্মসূচি পালনের জন্য এভাবে আবেদন করা হয়েছিল।
জামায়াতের আবেদনে, শুক্রবার দুপুরে নগরীর হেতেমখাঁ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চান তারা। সাহেববাজার ঘুরে মিছিলটি একই স্থানে শেষ করে সমাবেশের অনুমতি চান। পুলিশ এ কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়নি। তারপরও জামায়াত কর্মসূচি পালন করেছে। তবে দুপুরে হেতেমখাঁ এলাকায় কর্মসূচি পালন না করে সকাল ৯টায় নগরীর ব্যস্ততম রেলগেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে সমাবেশও করে তারা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ অন্য নেতাদের মুক্তি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে জামায়াত-শিবিরের কয়েকশ’ নেতাকর্মী অংশ নেন। নেতৃত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের আমীর ড. কেরামত আলী।
রেলগেট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে রাজশাহী-নওগাঁ সড়ক হয়ে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরে শালবাগান মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। প্রায় দুই মিনিটের মতো এ সমাবেশে ড. কেরামত আলী ছাড়াও নগর জামায়াতের সেক্রেটারি এমাজ উদ্দিন মন্ডল বক্তব্য দেন।
এ সময় সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ, যুব সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকার, ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি ওসামা রায়হান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আহমেদ আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশ দেখা যায়নি। পুলিশ আসার আগেই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা দ্রুত কর্মসূচি শেষ করে চলে যান।
বিক্ষোভ-সমাবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দ হোসেন জানান, এ ধরনের একটি বিক্ষোভ-মিছিল হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। এর বেশি কোন কথা বলেননি তিনি।