অনিদ্রায় ভুগছেন নিকোটিন আসক্ত কিম, ওজন হয়েছে ১৪০ কেজি
বুধবার এমন সব দাবিই করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের ওজন এখন ১৪০ কেজি। তিনি ইনসমনিয়া, ডার্মাটাইটিস এবং নিকোটিন আসক্তিতে ভুগছেন। বুধবার এমন সব দাবিই করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান। সীমান্তের ওপারে কিম জং উন কখন কি করছেন কিংবা তার স্বাস্থ্যের কি অবস্থা তা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার আগ্রহের শেষ নেই। যদিও এত এত নিরাপত্তা পেরিয়ে কিমের তথ্য পাওয়া একরকম অসম্ভবই। তারপরেও প্রায়ই দেশটি কিমকে নিয়ে নানা জল্পনা সৃষ্টি করে। এ খবর দিয়েছে আরটি।
দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টের গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটির শুনানিতে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএস ডিরেক্টর কিম কিও-হিউন। এতে উত্তর কোরিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি এবং দেশটির নেতা কিম জং-উনের শারীরিক অবস্থার কথা উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিল মাস নাগাদ উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা অনিদ্রার সর্বাধুনিক চিকিৎসা এবং জলপিডেমের মতো আধুনিক ওষুধ সংগ্রহ করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। এ থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার মনে হয়েছে কিম জং উন অনিদ্রায় আক্রান্ত।
আবার উত্তর কোরিয়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিদেশী সিগারেট ও উন্নতমানের স্ন্যাক্স আমদানি করছে। তাই অনিদ্রার কারণে কিম অ্যালকোহল ও নিকোটিনের ওপর অধিকতর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বলে মনে করে দক্ষিণ কোরিয়া। গত ১৬ই মে একটি অনুষ্ঠানে যোগদানকালে কিম জং-উনের যে ছবি প্রকাশ হয়েছে, তাতে তার চোখের নিচে কালো দাগ দেখা গেছে। একইসঙ্গে তাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছিল। ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি না ঘুমিয়েই কিমের এই অবস্থা হয়েছে। আবার কিম জং-উনের কয়েকটি সাম্প্রতিক ছবি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারে বিশ্লেষণের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে জানা গেছে, তার ওজন প্রায় ১৪০ কেজি হয়েছে।
কিম জং উনের স্বাস্থ্য নিয়ে প্রায়ই অসত্য গুজব প্রচার করতে দেখা যায় পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোকে। ২০২০ ও ২০২১ সালে কিম বেশ কয়েকবার কয়েক দিনের জন্য জনসমক্ষে না এলে তার মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়। তার হৃদরোগের কথাও প্রচারিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। যদিও আরটির দাবি, পশ্চিমা মিডিয়াতে প্রায়ই বিদেশী প্রতিপক্ষের ভঙ্গুর স্বাস্থ্যের খবর প্রচারিত হয়।
বৃটিশ কয়েকটি আউটলেট গত বছর থেকে অব্যাহতভাবে দাবি করে আসছে যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং এ জন্য চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। এছাড়া প্রায়ই তার অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা প্রচার করা হয়। যদিও বাস্তবে দেখা যায় এগুলো নিছক জল্পনা ছাড়া কিছুই না। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এমন রিপোর্টগুলি ‘প্রতারণা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এছাড়া গত বছর সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নসও স্বীকার করেছেন যে, রুশ প্রেসিডেন্ট আসলে পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন।