৭ নভেম্বরের চেতনায় ফের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে: ১২ দলীয় জোট

৭ নভেম্বরের চেতনায় ফের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে: ১২ দলীয় জোট

প্রথম নিউজ, ঢাকা:১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত রাখতে ৭ নভেম্বর আমাদের উদ্দীপনা জাগায়। ৭ নভেম্বরের চেতনা বুকে ধারণ করেই আমরা স্বাধীনতা রক্ষা করবো গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবো এবং দেশকে স্বাবলম্বী ও সমৃদ্ধির ধারায় এগিয়ে নেবো।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে রাজধানীর আসাদগেট জাগপা মিলনায়তনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব বলেন।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, ন্যাপ ভাসনীর চেয়ারম্যান এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় দলের আল মাসুদ প্রমুখ

বক্তারা বলেন, সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা লাভের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। সেই আওয়ামী লীগ একুশ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। শেখ হাসিনা আবারও গণতন্ত্রকে করব দিয়ে বাকশালের দ্বিতীয় সংস্করণ চালু করতে শুরু করেছে। এবারে ক্ষমতা হারালে আওয়ামী লীগ আবারও দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষমতা থেকে দূরে সরে যাবে।

বলা হয় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। অন্যের কথা জানিনা আওয়ামী লীগ বারবার একই ভুল করছে।

বক্তারা ৭ নভেম্বরকে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সিপাহী জনতার ঐতিহাসিক বিজয় উল্লেখ করে বলেন, এই বিপ্লবের সুফল এসেছে জিয়াউর রহমানের মতো ক্ষণজন্মা পুরুষের নেতৃত্বের ক্যারিসমায়। জিয়ার উপস্থিতি সেদিন বড়বেশি প্রয়োজন ছিল। অদৃষ্ট আমাদের সহায় বলেই সেদিন জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বের সুফল পেয়েছিল দেশ।

বক্তারা চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, সরকার পতনের একদফা বাস্তবায়নের কাজটি আওয়ামী লীগ নিজেই ত্বরান্বিত করছে। সভ্য জগতে একটি দেশে গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরে বিরোধী দলের সব নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রাখা শুধু নিন্দাজনক নয় লজ্জা এবং হতাশার ব্যাপার। নিরস্ত্র ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে সরকার যেভাবে যুদ্ধের আবহ তৈরি করেছে তাতে জাতিসংঘ এবং গণতান্ত্রিক দুনিয়ার নিরব থাকার কোনো যোক্তিকতা দেখি না। 

তৃবৃন্দ সরকারের প্রতি সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি করেন এবং পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানান।