২০ বছর পর ধর্ষণের দায়ে দুইজনের যাবজ্জীবন
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম নিউজ, রংপুর: রংপুরের মিঠাপুকুরে ২০ বছর আগে এক কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রফিকুল ইসলাম ও শাহ্ আলম। তারা মিঠাপুকুর উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ১৪ মে মুরাদপুর গ্রামের এক কিশোরী একই গ্রামে তার বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। ওই দিন রাতে বাড়ির পাশের টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে বাইরে বের হলে আসামি রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলম অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক অপহরণ করে বাড়ির অদূরে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে মিঠাপুকুর থানাকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। পরে তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খলিলুর রহমান দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসিট দাখিল করেন। এ মামলায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলাম ও শাহ্ আলমকে দোষী সাব্যস্ত করে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার রফিক হাসনাইন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার ২০ বছরের মাথায় এ রায় ঘোষণা করা হলো। এ রায়ে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এ কারণে বাদী ও সরকার পক্ষ সন্তুষ্ট।