১২ বছর ড্রয়ের বৃত্তে বন্দি পর্তুগাল-স্পেন ম্যাচ
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : সাল ২০১০, প্রীতি ম্যাচে স্পেনকে ৪-০ গোলে হারায় পর্তুগাল। এরপর ৫বারের দেখায় নিষ্ফল শেষ হয়েছে দু’দলের খেলা। সর্বশেষ উয়েফা ন্যাশন্স লীগের ম্যাচও ড্র করেছে ইউরোপের দুই পরাশক্তি। বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও জয়বঞ্চিত হয়েছে স্পেন। প্রথমার্ধে আলভারো মোরাতার গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। হারের শঙ্কায় থাকা পর্তুগাল আট মিনিট বাকি থাকতে ম্যাচে ফেরে রিকার্দো হোর্তার গোলে। সর্বশেষ ফল আসা ম্যাচের পর প্রথম স্পেন-পর্তুগাল ম্যাচ ড্র হয় ২০১২ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে। এর ৬ বছর পর ২০১৮ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে দেখা হয় স্পেন ও পর্তুগালের। সেই ম্যাচটি আজও তাজা ফুটবল ভক্তদের হৃদয়ে। ৮৮ মিনিট পর্যন্ত ৩-২তে পিছিয়ে ছিল পর্তুগাল। অন্তিম মুহূর্তে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে জয় বঞ্চিত হয় স্পেন। ২০২০ এবং ২০২১ সালে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে দু’দল। দু’টি ম্যাচই গোলশূন্য ড্র হয়।
এবার ন্যাশন্স লীগে ১-১ গোলের ড্রয়ে বৃত্ত ভেদ করতে ব্যর্থ স্পেন-পর্তুগাল। অন্তিম মুহূর্তে হার এড়িয়ে স্বস্তিতে পর্তুগাল শিবির। দলটির ফরোয়ার্ড বার্নার্দো সিলভা বলেন, ‘এটা (ড্র) ভালো অনুভূতি। কারণ স্পেন কঠিন প্রতিপক্ষ এবং আমরা ম্যাচে তাদের চেয়ে পিছিয়ে ছিলাম। পর্তুগালের জন্য এটা ভালো ফল।’ পর্তুগালের জন্য ভালো ফল হলেও প্রথমার্ধে লিড নিয়ে জয়বঞ্চিত হওয়া স্প্যানিয়ার্ডরা নেই স্বস্তিতে। আলভারো মোরাতা বলেন, ‘আমরা তাদের হারাতে পারিনি। তবে নিঃসন্দেহে কঠিন প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করেছি আমরা। আরো পরিশ্রমী হতে হবে আমাদের। এই গ্রুপে (বি) কোনো দুর্বল প্রতিপক্ষ নেই।’ ম্যাচজুড়ে পর্তুগালের উপর আধিপত্য বিস্তার করে স্পেন। ৬১ শতাংশ বল দখলে রেখে ১১টি শটের ২টি লক্ষ্যে রাখে লুইস এনরিকের দল। ৩৯ শতাংশ বল দখলে রাখা পর্তুগাল ৭টি শটের ২টি রাখে লক্ষ্যে।
সবশেষ ম্যাচের একাদশে ৬টি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে স্পেন। গত মার্চে বিশ্বকাপ প্লে-অফে দারুণ দুটি জয়ে কাতারের টিকিট নিশ্চিত করা পর্তুগাল এদিন খেলতে নামে তিনটি পরিবর্তন নিয়ে। প্রথম একাদশে ছিলেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যাচের ৬২তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন তিনি। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় স্পেন। গাভির নেয়া শট রুখে দিয়ে হতাশ করেন ডিফেন্ডার পেপে। দুর্দান্ত কাউন্টার অ্যাটাকে ২৫তম মিনিটে লিড নেয় স্পেন। গাভির রক্ষণচেরা থ্রু পাস পেয়ে ডি-বক্সে মোরাতাকে খুঁজে নেন পাবলো সারাবিয়া। বিনা বাধায় গোলটি করেন জুভেন্টাস স্ট্রাইকার।
৭২তম মিনিটে রিকার্দো হোর্তাকে মাঠে নামান পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। মাঠে নামার দশ মিনিটের মধ্যে লক্ষ্যভেদ করে প্রত্যাবর্তন রাঙান ব্রাগার এই ফুটবলার। ডান দিক থেকে কানসেলোর দারুণ ক্রসে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন হোর্তা। ২০১৪ সালে পর্তুগালের জার্সিতে অভিষেক হয় তার। অর্থাৎ, জাতীয় দলের হয়ে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলতে ৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে হোর্তার।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews