শেষ ওভারে তিন ছক্কায় আইপিএল ফাইনালে গুজরাট

শতরানের জুটিতে সব চাপকে তুড়িতেই উড়িয়ে দিয়েছে গুজরাট

 শেষ ওভারে তিন ছক্কায় আইপিএল ফাইনালে গুজরাট
শেষ ওভারে তিন ছক্কায় আইপিএল ফাইনালে গুজরাট-প্রথম নিউজ

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : জস বাটলারের খুনে ৮৯ রানের ইনিংসে ভর করে রাজস্থান রয়্যালস ১৮৯ রানের এভারেস্টসম এক লক্ষ্যই দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল প্রথমবারের মতো আইপিএল খেলতে আসা গুজরাট টাইটান্সের সামনে। ট্রেন্ট বোল্ট, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের নিয়ে গড়া রাজস্থান বোলিং আক্রমণ তর্কসাপেক্ষে টুর্নামেন্টেরই সেরা। সঙ্গে যোগ করুন প্লে অফের চাপকেও।

তবে হার্দিক পান্ডিয়া আর ডেভিড মিলারের অপরাজিত শতরানের জুটিতে সব চাপকে তুড়িতেই উড়িয়ে দিয়েছে গুজরাট। শেষ ওভারে মিলার মেরেছেন তিন ছক্কা, তাতে ৭ উইকেটের জয় পায় গুজরাট। আর রাজস্থানের ফাইনালের অপেক্ষাটা আরও দীর্ঘায়িত করে উঠে যায় ফাইনালে।

ইডেন গার্ডেনসে টসভাগ্য সঙ্গ দিয়েছিল গুজরাট অধিনায়ক পান্ডিয়ার, নিয়েছিলেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। শুরুতে যশস্বী জয়সওয়ালকে তুলে নিয়ে শুরুটা দারুণ করেছিল গুজরাট। তবে এরপরই রাজস্থান ম্যাচে ফেরে সাঞ্জু স্যামসন আর বাটলারের ৬৮ রানের জুটিতে। স্যামসন এরপর ফেরেন ৪৭ রান করে। চারে আসা দেবদূত পাড়িক্কালও দারুণ শুরু পর ফেরেন ২৮ রান করে।

এরপর রাজস্থান এগিয়েছে বাটলারের লড়াইয়ের জোরে। শিমরন হেটমায়ার, রিয়ান পরাগরা ওপাশে ছিলেন বটে, তবে তাদের আলো কেড়ে নেওয়ার সুযোগই দেননি বাটলার। ৫৬ বলে ৮৯ রান করে যখন রান আউট হয়ে ফিরছেন তিনি, তখন রাজস্থানের স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে গেছে ১৮৫ রান। শেষমেশ দলটি গুজরাটকে লক্ষ্য দেয় ১৮৯ রানের।

জবাবে গুজরাট ট্রেন্ট বোল্টের করা প্রথম ওভারে হারিয়ে বসে ঋদ্ধিমান সাহাকে। শুরুর এই ধাক্কা নবাগত দলটি সামলায় শুভমান গিল আর ম্যাথিউ ওয়েডের কল্যাণে। দু’জনের এই জুটিতে ৪৪ বলে ৭২ রান তোলে গুজরাট। তবে এরপরই গিল ফেরেন ব্যক্তিগত ৩৫ রানে। এর কিছু পর ওয়েডও ফেরেন ৩৫ রান করেই। দুই ওভারের ব্যবধানে দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কিছুটা বিপাকেই পড়ে গিয়েছিল গুজরাট।

তবে দলটির অস্বস্তি আর বাড়তে দেননি পান্ডিয়া আর মিলার। দু’জন হিসেবি জুটিতে শুরুতে অস্বস্তি বিদায় করেছেন দলের, ধীরে ধীরে দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ২২ রানের। ১৯তম ওভারে এসে রাজস্থানের পেসার ওবেদ ম্যাকয় ৭ রান দিয়ে গেলে অস্বস্তিটা আবারও ফিরে আসে গুজরাট শিবিরে।

শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৫ রান। একটু এদিক ওদিক হলেই ম্যাচটা চলে যেতে পারত রাজস্থানের মুঠোয়, গুজরাটের ওপর চাপ খানিকটা ছিল বৈকি! তবে সে চাপ মিলারের ব্যাটেই ঝেড়ে ফেলে দলটি। প্রথম তিন বলেই হাঁকিয়ে বসেন তিন ছক্কা। তাতে সাত উইকেটের জয় নিশ্চিত হয়ে যায় গুজরাটের। আর রাজস্থানের ১৪ বছর পর ফাইনালে খেলার অপেক্ষাটা আরেকটু দীর্ঘায়িত হয় তাতে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom