Ad0111

ইংল্যান্ডের প্রথম বিশ্ব জয়ের গল্প

বিশ্বকাপ অধরা ইংল্যান্ডের

ইংল্যান্ডের প্রথম বিশ্ব জয়ের গল্প
ইংল্যান্ডের প্রথম বিশ্ব জয়ের গল্প

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ক্রিকেটের জনক অথচ বিশ্বমঞ্চে নেই কোনো সাফল্য। হোক সেটা ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। বিশ্বকাপ অধরা ইংল্যান্ডের। থ্রি লায়ন্সের সেই আক্ষেপটা আরও দীর্ঘতর হয় ২০০৯ সালে স্বাগতিক হওয়ার সুযোগটা কাজে লাগাতে না পারায়। সেবার ইংল্যান্ডের মাঠ থেকে বিশ্বকাপ শিরোপা নিয়ে বাড়ির পথ ধরে পাকিস্তান। তবে পরের বছর ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে পা রাখতেই ভাগ্য সু-প্রসন্ন ইংল্যান্ডের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় আসর বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে, ২০১০ সালে। সেই আসরে নিজেদের বহু যুগের খেদ মেটায় ইংল্যান্ড। জেতে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপ শিরোপা।


তাও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে। বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক পল কলিংউড। প্রতিপক্ষ অধিনায়কের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ব্যাট হাতে নামেন দুই অসি ওপেনার শেন ওয়াটসন এব ডেভিড ওয়ার্নার।

এই দুই ব্যাটারের বদৌলতে ঝড়ো একটা শুরুর অপেক্ষায় সবাই বসে থাকলেও, অভিজ্ঞতা হয় অন্য কিছুর। রীতিমতো পিলে চমকে যাওয়ার মতো অবস্থা।

ফাইনালে, স্কোরবোর্ডে ৮ রান তুলতেই প্রথম ৩ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। ৪৫ রানে ৪টা! মাঝে ইনিংসের হাল ধরেন মাইকেল ক্লার্ক এবং ডেভিড হাসি। তবে দশম ওভারে ২৭ রান করে ক্লার্কও ডেভিডকে রেখে বিদায় নেন।
ডেভিড হাসি অবশ্য ক্যামেরন হোয়াইট ও ভাই মাইকেল হাসির কাছ থেকে শেষদিকে ভালোই সঙ্গ পান। তাতে ২০ ওভার শেষে অসিদের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৪৭ রান। শেষ ওভারে আউট হবার আগে ডেভিড হাসি করে যান ৫৪ বলে ৫৯। হোয়াইট করেন ১৯ বলে ৩০। মাইক হাসি অপরাজিত থাকেন ১০ বলে ১৭ রানে।

বিশ্বকাপ ফাইনাল বলে কথা, নইলে ১৪৮ রান খুব বড় কোনো লক্ষ্য নয় এই ফরম্যাটে। তবে জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মাইকেল লাম্বের বিদায় একটু চাপে ফেলে ইংল্যান্ডকে। তবে সেখান থেকে দলকে বের করে আনেন ক্রেইগ কিসওয়েটার এবং কেভিন পিটারসেন।


এ দু’জনের কল্যাণে প্রথম ১০ ওভারে শেষে ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ড আসে ৭৩ রান। পরের ওভারে ওয়াটসনের বলে জনসনের হাতে ৩০ রানে জীবন পাওয়ার পর বেশিদূর অবশ্য যাওয়া হয়নি ওই আসরে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার পাওয়া পিটারসেনের।

১৪তম ওভারে সেই ওয়াটসনের বলেই আউট হবার আগে ৩১ বলে ৪৭ রান করার পথে কিসওয়েটারের সঙ্গে অবশ্য শতরানের জুটি গড়ে দলকে নিরাপদ অবস্থানেই রেখে যান।

আর কিসওয়েটার? চোখের ইনজুরির কারণে অকালে ক্রিকেট ছেড়ে গলফার বনে যাওয়া সেই কিপার-ব্যাটার সেদিন সেই যে ওপেনিংয়ে নামলেন, থামলেন ঠিক ১৫তম ওভারের শুরুতে। তার আগে খেলে যান ৭ চার এবং ২ ছয়ে ৪৯ বলে ৬৩ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস। বাকি পথটা ইয়ন মরগ্যানকে নিয়ে পাড়ি দেন অধিনায়ক পল কলিংউড। তাতে প্রথমবার কোনো বৈশ্বিক শিরোপার স্বাদ চেখে দেখা হয় ইংলিশদের।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news