সমাজকল্যাণ অফিস দখল করে আওয়ামী লীগ কার্যালয়
ভবনটি দখল মুক্তের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান সোহাগ।
প্রথম নিউজ,পটুয়াখালী : দশমিনা উপজেলায় বহরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামাজিক কাজে ব্যবহৃত একটি ভবন সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দখলের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। ভবনটি দখল মুক্তের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান সোহাগ। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের আদমপুর বাজারে ৭-৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের জনগণের বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিরসন ও ইউপি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৮৯ সালে স্থানীয় ১৪ জন ব্যক্তি বহরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে সমাজসেবা অফিসের ভবন নির্মাণের জন্য ৬ শতাংশ জমি দানপত্র দলিল করে দেন। তৎকালীন সময় ওই জমিতে একটি টিনশেড পাকা ভবন নির্মাণ করে এলজিইডি। ভবন নির্মাণের পর থেকেই বহরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ৩টি ওয়ার্ডের সকল সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন ওই ভবনে বসে। সমাজকল্যাণ অফিসের নামে ভবনটি সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সময়ে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত অর্থবছরে ভবনটি সংস্কারের জন্য এডিপি থেকে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বহরমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান সোহাগ অভিযোগ করে বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন মৃধা ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভবনটিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দিয়ে তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। ভবনটি তালাবদ্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ৩টি ওয়ার্ডের প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা, ভিজিডি, ভিজিএফ উপকারভোগীসহ পরিচয়পত্র নিতে আসা জনগণকে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুল আলম (বাবলু মিয়া) বলেন, দলীয় অফিস হিসেবে ভবনটি দখল করে রাখলে আদমপুর বাজার থেকে দীর্ঘ ৮ কিলোমিটার দূরত্বে বহরমপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে গিয়ে সেবা পেতে তিনটি ওয়ার্ডের জনগণের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
বহরমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ভবনটিতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চলে এতে সমস্যা কি? তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও তো ওই অফিসে বসে সমাজসেবামূলক কাজ করছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক হাওলাদার বলেন, বিষয়টি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধা ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয়ে জানতে সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধাকে বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রয়োজনে অফিসটি নেয়া হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইকবাল মাহামুদ লিটন বলেন, ওই ভবনটি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ভবনটি দলীয় অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হলে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews