শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোল দিয়ে সাফের যাত্রা শুরু বাংলাদেশের

শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোল দিয়ে সাফের যাত্রা শুরু বাংলাদেশের

প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক: শুরুর একাদশটা কোচ পিটার বাটলার সাজিয়েছিলেন এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ৮জন ফুটবলারকে দিয়েই। যার ফলাফল প্রথম মিনিটেই পেয়েছে বাংলাদেশ। ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে  শ্রীলঙ্কার জালে জড়ান স্বপ্না রানি। সরাসরি পাওয়া ফ্রি কিক থেকে গোল করেন ১৯ বছর বয়সী এ ফুটবলার। প্রথম গোলের ধাক্কা কাটিয়ে উঠার আগেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৪তম মিনিটে গোল করেন বাছাইপর্বের মুনকি আক্তার। 
এরপর একাধিক সুযোগ পেয়েও ফাঁকা পোস্টে গোল জড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৫তম মিনিটে সাগরিকার শটও বারে লেগে ফিরে আসে। এদিকে বাংলাদেশের স্ট্রাইকারদের সঙ্গে তাল মেলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে লঙ্কানদের। ৩৭ মিনিটে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তৃতীয় গোলটি করেন ফরোয়ার্ডের মোসাম্মাৎ সাগরিকা। এরপরও বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। ৩৮ এবং ৪৫ তম মিনিটে বাংলাদেশের মেয়েরা গোল করলেও তা অফসাইডের জন্য বাতিল করা হয়। ৪১তম মিনিটে অধিনায়ক আফিঈদার দারুণ এক শট ঠেকিয়ে দেন গোলকিপার থারুশিকা। শেষে তিন গোলে এগিয়ে থেকে ডাগআউটে ফেরে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়ার্ধে অধিনায়ক আফিঈদার জায়গায় মাঠে নামেন ডিফেন্ডার রুমা আক্তার। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই যেন প্রথমার্ধের না দেয়া গোলগুলো শোদ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৪৭তম মিনিটে সাগরিকার পাসে গোল করেন মুনকি আক্তার। ৪৯তম মিনিটে শান্তি মার্ডির লং পাসে দলের পঞ্চম গোলটি করেন সিনহা জাহান শিখা। ৫২তম মিনিটে বন্যা খাতুনের পাসে আরেকটি গোল করেন সাগরিকা। ৬-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।  মিনিট পাঁচেক পরই পূজা দাসের ক্রসে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাগরিকা। অন্যদিকে বাংলাদেশের অ্যাটাক সামলাতেই ব্যস্ত ছিল শ্রীলঙ্কা। সম্পূর্ণ ম্যাচে নামে মাত্র কয়েকটি সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি শিরন্থা কালুহাতের দল। 
ম্যাচের ৬৩ মিনিটে সাগরিকার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ঐশী খাতুন। ম্যাচের ৮৫তম মিনিটে বন্যার কর্নার থেকে দলের ৮ নম্বর গোলটি করেন রূপা আক্তার। ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম কর্নার পায় শ্রীলঙ্কা। তবে সেটিও ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারেনি লঙ্কান মেয়েরা। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত মিনিটে ১টি গোল করার সুযোগ পায় শ্রীলঙ্কা। ৯০ মিনিটে গোলটি করেনলাইয়ানশিকা। ম্যাচের শেষ কয়েক মিনিট বাকি থাকতে পাল্টা আক্রমণ চালায় বাংলাদেশ। ম্যাচের অতিরিক্ত সময় বাংলাদেশের নয় নম্বর গোলটি করেন শান্তি মার্ডি।  

নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাগরিকার হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি মুনকি আক্তার দুটি এবং স্বপ্না রানী,শিখা,রূপা আক্তার এবং শান্তি মার্ডি একটি করে গোল করেন।  সর্বশেষ ২০২৪ সালে সাফে ভারতের সঙ্গে যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। এ নিয়ে পাঁচবারের মধ্যে মোট চারবারের সাফ চ্যাম্পিয়ন মেয়েরা। 
চার দলের পরবর্তী ম্যাচে আগামী ১৩ তারিখ নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এরপর ১৫,১৭ তারিখে পরপর দুই ম্যাচে ভুটানের সঙ্গে খেলবেন আফিঈদারা। ফের ১৯ই জুলাই শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২১ তারিখে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।