রিজার্ভ কমল আরও ৩০ কোটি ডলার

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আইএমএফের হিসাব পদ্ধতিতে মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভ নামে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে।

রিজার্ভ কমল আরও ৩০ কোটি ডলার

প্রথম নিউজ, অনলাইন: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে অব্যাহত গতিতে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় এ খাতে ঘাটতি হচ্ছে। এ ঘাটতি মেটাতে হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে। যে কারণে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ৩০ কোটি ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আইএমএফের হিসাব পদ্ধতিতে মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভ নামে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে। এক সপ্তাহ আগে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ডলার সংকটের কারণে আমদানির দায় মেটাতে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রির কারণে গত এক সপ্তাহে রিজার্ভ কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে রেকর্ড সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া রেমিট্যান্সেও ভাটা পড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরের শুরুতে দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯২৩ কোটি ডলার। গত বুধবার দিনের শুরুতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০৬ কোটি ডলারে। আলোচ্য সময়ে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ২১৭ কোটি ডলার। এক সপ্তাহ আগে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭৩৪ কোটি ডলার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৩০ কোটি ডলার।

এদিকে, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা পরিশোধ করতে হবে নভেম্বরের শুরুতে। তখন রিজার্ভ এক ধাক্কায় আরও কমে যেতে পারে। কেননা নভেম্বরের আগে বড় ধরনের কোনো বৈদেশিক ঋণের অর্থ ছাড় হচ্ছে না। নভেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ৪৮ কোটি ডলার ছাড় হতে পারে। এছাড়া ওই সময়ে বিশ্বব্যাংক ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের কিছু ঋণও ছাড় হতে পারে। তখন রিজার্ভ কিছুটা বাড়তে পারে। আর বছরের শেষদিকে রপ্তানি আয় বাড়ার আশা করা হচ্ছে।