ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের ৩ দফা দাবি

আইবিসির বাকি দাবি হলো, অবিলম্বে শ্রম আইন সংশোধনী কমিটিতে আইবিসি’র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারী, গার্মেন্ট শিল্প সেক্টরের জন্য নতুন নিম্নতম মজুরী কাঠামো ঘোষনার জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১৪০(ক) ধারা মতে উদ্দ্যোগ গ্রহন করতে হবে। ২০ রোজার মধ্যে সকল গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরী ভাতাদী পরিশোধ করতে হবে।

ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের ৩ দফা দাবি

প্রথম নিউজ, ঢাকা: অবিলম্বে শ্রম আইন সংশোধনী কমিটিতে আইবিসি’র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারী করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি)। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লা‌বের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব দাবি জানান তারা। 

আইবিসির বাকি দাবি হলো, গার্মেন্ট শিল্প সেক্টরের জন্য নতুন নিম্নতম মজুরী কাঠামো ঘোষনার জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১৪০(ক) ধারা মতে উদ্দ্যোগ গ্রহন করতে হবে। ২০ রোজার মধ্যে সকল গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরী ভাতাদী পরিশোধ করতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল আলম রাজু বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ একাধিকবার সংশোধন করা হয়েছে এবং আবারো সংশোধনের লক্ষ্যে গত ১৫ মার্চে সরকার, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন পূর্বক একটি প্রজ্ঞাপন জারী করেছে। প্রজ্ঞাপনে দেখা যায় যে, কমিটির ১৮ জন সদসস্যের মধ্যে ১১ জন সরকার পক্ষের, মালিক পক্ষের ৩ জন এবং শ্রমিক পক্ষের ৩ জন । এছাড়াও কমিটিতে একজন আইনজীবী রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য ত্রিপক্ষীয় কমিটির কথা বলা হলেও কমিটির সদস্যের সংখ্যার ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হয়েছে।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, আইবিসি দীর্ঘদিন যাবত এই কমিটিতে আইবিসি প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার কথা বিভিন্ন সভায় বলে আসছে। কিন্তু এবারো এই কমিটি পুনর্গঠনে আইবিসি’র প্রতিনিধিকে উপেক্ষ করা হয়েছে। কমিটিতে মালিক পক্ষের ৩ জনের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্প সেক্টর হইতেই ২ (বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ) প্রতিনিধি রাখা হলেও ইন্ডাষ্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল আইবিসি তৈরী পোশাক শিল্পের বৃহত্তর শ্রমিক সংগঠনের জোট হলেও এই জোট থেকে কোন প্রতিনিধি নেই এমনকি পোশাক শিল্পের কোন প্রতিনিধিকেই এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। শ্রম বিধিমালা সংশোধনী কমিটিতে আইবিসির প্রতিনিধি ছিলো।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প একটি বৃহত শিল্প, যেখানে প্রায় ৪০ লক্ষ শ্রমিক কাজ করছে যার মধ্যে প্রায় ৬০% নারী শ্রমিক এবং এটি বাংলাদেশের বর্তমানে প্রধান রপ্তানীকারক শিল্প। এই শিল্পের শ্রমিক প্রতিনিধিদের মধ্য হইতে শ্রম আইন সংশোধনী কমিটিতে কোন সদস্য অন্তর্ভুক্ত না করা এবং এই কমিটিতে মালিক পক্ষের ৩ জনের মধ্যে পোশাক শিল্পের মালিকদের মধ্য হইতে ২ জন অন্তর্ভুক্ত করা উদ্দেশ্যমূলক। সরকার কমিটি গঠনে পোশাক শিল্প মালিকদের গুরুত্ব অনুধাবন করলেও এই শিল্পের শ্রমিক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করনের গুরুত্ব অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছেন।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom