বসতঘরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পৌর শহরের নতুন বাজারস্থ নিজ বাড়ি থেকে স্বজনরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বসতঘরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকউল্লাহ

প্রথম নিউজ, চাঁদপুর: বসতঘরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকউল্লাহ (৭০) কোম্পানী নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পৌর শহরের নতুন বাজারস্থ নিজ বাড়ি থেকে স্বজনরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকউল্লাহ চাঁদপুরে সর্বজন শ্রদ্ধেয় হেদায়েত উল্লাহ কোম্পানীর ছেলে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় ও (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিন ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রশিদ। নিহতের ছোট ভাই মো. নাসিরউল্লাহ বলেন, ‘মাগরিবের নামাজের পর বড় ভাইয়ের খুন হওয়ার খবর পাই। বাড়িতে গিয়ে দেখি আমাদের বাড়ির দোতলায় নিজ কক্ষে ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’

নিহতের ভাগনে সফিকুর রহমান খান বলেন, ‘মাগরিবের নামাজ পড়ে আমরা নিচতলায় বাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ ওপর তলা থেকে রফিকউল্লাহ মামার কেয়ারটেকার মিরাজের চিৎকার শুনে সেখানে যাই। দেখি মামা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।’

সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক সাগর চৌধুরী  বলেন, নিহতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার শরীরের বাঁ দিকে একটি ছুরি ঢুকানো ছিল। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়  বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। আশা করছি দ্রুতই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারবো।

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নাঈম পাটোয়ারী দুলাল  বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কারও সঙ্গেই রফিকউল্লাহর খারাপ সম্পর্ক ছিল না। সবার সঙ্গে তিনি হাসিখুশি চলাফেরা করতেন। চাঁদপুরে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড প্রত্যাশিত নয়। আসলে বিষয়টি কী হচ্ছে তা বুঝে উঠতে পারছি না। তারা আরও বলেন, এর সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না হলে আগামীতে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো যোগসূত্র আছে কি-না আমরা তা জানি না। কিন্তু সব সময় দেখেছি তিনি শান্তিপূর্ণভাবে চলাচল করেছেন।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে রফিকউল্লাহর পরিবারের অপরিসীম অবদান রয়েছে। তার বড় ভাই শহীদ জাবেদকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আজকে তার ছোট ভাই রফিকউল্লাহকে এভাবে হত্যা করা হলো। তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ নিন্দা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom