ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন ২৫ বাড়ি, হুমকির মুখে আরও ৫০ পরিবার

জানা গেছে, কালির আলগা গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্যের বাড়িসহ ২০-২৫টি বাড়ি নদীভাঙনের শিকার হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরও ৫০-৬০ পরিবার। 

ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন ২৫ বাড়ি, হুমকির মুখে আরও ৫০ পরিবার

প্রথম নিউজ, কুড়িগ্রাম: পানির কমার সঙ্গে সঙ্গে আবারো কুড়িগ্রামের ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নিঃস্ব হচ্ছে অনেক পরিবার। গত এক সপ্তাহে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় ভগপতিপুর, পোড়ার চর ও কালির আলগা গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, কালির আলগা গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্যের বাড়িসহ ২০-২৫টি বাড়ি নদীভাঙনের শিকার হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরও ৫০-৬০ পরিবার। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ভগপতিপুর, পোড়ার চর ও কালির আলগা গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানির কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পরিবারের সবাই মিলে ঘর-বাড়ি সরাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকে নৌকাযোগে তাদের ঘর-বাড়ি অন্য চরে নিয়ে জমি বর্গা নিয়ে বসতি গড়ে তুলছেন। এতে করে আতঙ্কে দিন কাটছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। 

যাত্রাপুর ইউনিয়নের কালির আলগা গ্রামের নদীভাঙনের শিকার হাশেম ও এরশাদ বলেন, তিন দিন আগে আমাদের বাড়ি-ঘর নদীভাঙনের শিকার হয়। ভিটে-মাটি হারিয়ে কোনো রকমে ঘর রক্ষা করে দক্ষিণ কালির আলগা চরে নিয়ে আসছি। আমাদের কোনো জমিজমা নেই। অন্যের জমিতে আশ্রয় নিছি। তাদের জমির ভাড়া দিতে হবে। এই চরও যে কবে ভাঙবে বলা যাচ্ছে না। এই জীবনে বহুবার ভাঙনের শিকার হয়েছি। এক চর ভাঙনে আর এক চরে চলে যাই। ওই চর ভাঙলে আর এক চরে যাই। এভাবেই আমাদের জীবন চলে। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হোসেন আলী বলেন, কালির আলগায় গত এক সপ্তাহে আমার বাড়িসহ ২০-২৫টি বাড়ি নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ কালির আলগা গ্রামে গিয়ে কোনো রকমে আশ্রয় নিয়েছি আমরা। অনেকের কোনো জমিজমা নাই। জমি ভাড়া নিয়ে ঘর তুলে আছে অনেক পরিবার। ভাঙনরোধে এখানে কোনো কাজ হয় না। মাস তিনেক আগে ২০টি পরিবার ১০ হাজার করে টাকা পেয়েছে।

যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, বর্তমানে আমার ইউনিয়নের ভগপতিপুর, পোড়ার চর ও কালির আলগা গ্রামে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভগপতিপুরে কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্কুল রয়েছে। ইউএনও স্যার দুই দিন আগে দেখে গেছেন। এখনো কাজ শুরু হয়নি। তাছাড়া ২ মাস আগে সরকারিভাবে ইউনিয়নে ৯৮টি ভাঙনকবলিত পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।  বিষয়টি জানতে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom