বাজেট তৈরির সময় স্টেক হোল্ডাররা তদবির করতো: পরিকল্পনামন্ত্রী

আজ বৃহস্পতিবার নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন ফর এ সাসটেইনেবল ইকোনমি’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাজেট তৈরির সময় স্টেক হোল্ডাররা তদবির করতো: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রথম নিউজ, ঢাকা: আমি যখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে (অর্থ প্রতিমন্ত্রী) কাজ করতাম, তখন বাজেট তৈরির সময় বিভিন্ন স্টেক হোল্ডাররা তদবির করতে আসতো। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমন মন্তব্য করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন ফর এ সাসটেইনেবল ইকোনমি’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, একটা অদ্ভূত বিষয় হলো, আমাদের কিন্তু কিউরিসিটি বেশি। আমি আমার জীবনে দেখেছি পিএইচডি হোল্ডার, ফিজিক্সে পড়াশোনা করে এমন ব্যক্তিরাও তদবির নিয়ে আসতো। আমি যখন ছোটখাট চাকরি করতাম তখনও দেখছি অনেকে তদবির নিয়ে এসেছে। অনেকে বাজেটের পক্ষে কথা বলার জন্য তদবির নিয়ে এসেছে। এমন মানুষ তদবির নিয়ে এসেছে তাদের বিষয়ে আমার ধারণা ছিল না।

এম এ মান্নান আরও বলেন, একজন মানুষ তদবির নিয়ে এসেছেন যে, তিনি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালাতে চান। এ কারণে সহায়তা চান। তিনি বলতে চান, আমরা চাচ্ছি একটা জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসারে এটা করতে। এর বাইরে আরও কী উদ্দেশ্য আছে, তা আমাদের জানা নেই।

এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নীতি-জ্ঞান প্রয়োগের সঠিক সমন্বয় নেই। এজন্য অনেক ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব দেখা দেয়। বাংলাদেশে বর্তমানে একটা বহুমুখী অর্থনৈতিক অবস্থায় আছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে পরিবেশে যাতে কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে সেজন্য আমরা ১০০ বদ্বীপ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমাদের জ্ঞানের কোনো ঘাটতি নেই। বর্তমানে দেশে বিশ্বমানের অর্থনীতিবিদরা রয়েছেন। তবে অভাব আছে একাডেমির সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি সংযোগের। আমরা সময়ের সঙ্গে পেরে উঠছি না। তবে আমাদের অর্থনীতি একটি সবল অর্থনীতি হওয়ার কারণে কোভিড সংকটেও আমরা পিছিয়ে যায়নি।

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালেই এলডিসি গ্রাজুয়েশন করতে পারতাম। কিন্তু কোভিডের কারণে সেটা পিছিয়ে ২০২৬ সালে সেটা আমরা অর্জন করতে পারবো। আমাদের অর্থনীতি এখন ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ। মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের দেশীয় উৎপাদন ব্যবস্থার কারণে মূল্যস্ফীতি হয়নি। মূল্যস্ফীতি হয়েছে বৈদেশিক আমদানির কারণে। দেশের উৎপাদন ব্যবস্থাও সচল ছিল। যার কারণে শিল্পে প্রবৃদ্ধি হয়েছির ১২ শতাংশ।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মাজহারুল ইসলাম রানা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির (ইউএসইটি) চেয়ারম্যান ড. মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom