প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে যাচ্ছেন ৫০ বিচারক

সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে এ অনুমতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়।

প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে যাচ্ছেন ৫০ বিচারক

প্রথম নিউজ, ঢাকা: ভারতের ভূপালে ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমী এবং স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমীতে প্রশিক্ষণের জন্য যেতে অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে এ অনুমতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়।

প্রশিক্ষণের জন্য সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এসব বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ৯ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। সম্প্রতি এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমীর আগামী ৯ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমী, ভূপাল এবং একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমীতে প্রশিক্ষণ হবে। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫০ জন বিচারককে অনুমতি দেওয়া হলো।

৫০ বিচারক হলেন, সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. মনির কামাল, হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এস এম নাসিম রেজা, শেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ, নীলফামারীর জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহমুদুল করিম, তথ্য মন্ত্রণালয়ের আইন কর্মকর্তা (জেলা জজ) মোহাম্মদ সাইদুর রহমান গাজী, রাঙ্গামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এ ই এম, ইসমাইল হোসেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (জেলা জজ) মো. আশরাফুল আলম, ঢাকার প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-৩ এর সদস্য শরমিন জাহান।

খুলনার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুন নেসা, ঝালকাঠির চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. পারভেজ শাহরিয়ার, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. বাহাউদ্দিন কাজী, যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জয়ন্তী রানী দাস, যশোরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর, ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শিহাবুল ইসলাম, কক্সবাজারের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন, চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. লুৎফর রহমান শিশির, যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. তাজুল ইসলাম, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিউদ্দিন মুরাদ।

যশোরের বিদ্যুৎ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) আয়েশা আক্তার মৌসুমী, ঢাকার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মাসুদুল হক, শেরপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ছালামত উল্লাহ, বাগেরহাটের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ওবায়দা খানম, বগুড়ার প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার (যুগ্ম জেলা জজ) মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক (যুগ্ম জেলা জজ) মো. আশিকুজ্জামান, আইন কমিশন চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মো. তাছিম বিল্যাহ, জামালপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা আহমেদ, ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম রকিবুল হাসান, খুলনার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ফয়সাল আল মামুন।

গাইবান্ধার সিনিয়র সহকারী জজ মো. শহীদুল ইসলাম, বগুড়ার সিনিয়র সহকারী জজ মো. আবু রায়হান, হাইকোর্ট বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার রাশেদুর রহমান, ময়মনসিংহের সিনিয়র সহকারী জজ নাহিদ সুলতানা, সিরাজগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ মো. আহসান হাবিব, পিরোজপুরের সিনিয়র সহকারী জজ সুব্রত মল্লিক, খুলনার সিনিয়র সহকারী জজ রত্না সাহা, নোয়াখালীর সিনিয়র সহকারী জজ রুপন কুমার দাশ ও ইয়াছিন আরাফাত, ঢাকার সিনিয়র সহকারী জজ মোছা. শামীমা খাতুন, হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহেলা পারভীন, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব,ঝিনাইদহ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মো. বুলবুল আহমেদ, লালমনিরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল হাসান, রংপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিনুর রহমান মিলন, লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল কবির, গাজীপুরের সিনিয়র সহকারী জজ মো. জাকির হোসাইন।

গাইবান্ধার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান, গাজীপুরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুবাইদা নাসরিন বর্ণা, বরিশালের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল আমিন, রাজশাহীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম ও আইন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান। প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই। ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

ওই সমঝোতা স্মারকের পর একই বছরের ২৯ জুলাই এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিসিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভূপালে তাদের জাতীয় জুডিসিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১৫ থেকে ১৬শ বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।