নির্বাসন নাকি জাগরণ, এক ম্যাচেই ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য 

নির্বাসন নাকি জাগরণ, এক ম্যাচেই ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য 


প্রথম নিউজ, ডেস্ক : বিশ্বকাপের উত্তাপে যেন অনেকটাই ম্রিয়মাণ বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনের খবর। বাংলাদেশের খেলা মানেই যেন এখন শুধুই ক্রিকেট। তবে ক্রিকেটের বাইরেও ফুটবল চলছে নিজের গতিতে। আর সেখানে বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আজ। ২০১৬ সালে এমনই এক পরিস্থিতিতে ভুটানের কাছে হেরে তিন বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নির্বাসনে চলে গিয়েছিল লাল-সবুজের দলটি।

আজ (মঙ্গলবার) আবার একই অবস্থানে আছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা। মঙ্গলবারের এই এক ম্যাচেই নির্ধারিত হবে আগামী তিন বছরের জন্য বাংলাদেশের ফুটবল ভাগ্য। জিতলে থাকবে ফুটবলের বড় মঞ্চে খেলার সুযোগ। আর হারলে পুড়তে হবে আক্ষেপে। 

২০২৬ বিশ্বকাপের প্রাক-বাছাই পর্বের ম্যাচে মঙ্গলবার মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতলে পরের দুই বছরে কমপক্ষে ১২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে জামাল ভূঁইয়ারা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৬ ম্যাচ ছাড়াও থাকবে এশিয়ান অঞ্চলের মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব এএফসি কাপের বাছাইপর্বের খেলা। আর যদি হেরে বসে, তবে এর সবই হারাবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। 

মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচে জয় পেলে বাংলাদেশ যুক্ত হবে বিশ্বকাপের প্রিলিমিনারি যৌথ বাছাইপর্বের রাউন্ড টুতে। এ পর্বে এশিয়ান হেভিওয়েট দলগুলো আগেই জায়গা নিশ্চিত করছে। এশিয়ান র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকা ১-২৫ নম্বরে থাকা দলগুলোর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে প্রিলিমিনারি বাছাইয়ের রাউন্ড ১ থেকে আসা ১১ দল। সর্বমোট ৩৬টি দলকে ৯টি গ্রুপে বিভক্ত করা হবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে রাউন্ড রবিন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। 

এই পর্বে বাংলাদেশ যুক্ত হবে ‘আই’ গ্রুপে। যেখানে আগে থেকেই আছে অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন এবং লেবানন। নাম এবং অভিজ্ঞতার বিচারে অনেকটা এগিয়ে থাকলেও এই তিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ৬ ম্যাচ নিশ্চিতভাবেই খেলতে চাইবে বাংলাদেশ। এছাড়া বাছাইপর্বের আগে-পরে অন্যান্য প্রীতিম্যাচের সুযোগ তো থাকছেই। 

এছাড়া প্রিলিমিনারি বাছাইপর্বে ৩য় বা ৪র্থ স্থানে থাকলেও বাংলাদেশ পাবে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব খেলার সুযোগ। বাছাইপর্বে ৩য় ও ৪র্থ স্থান থেকে আসা ১৮ দলের সঙ্গে প্রিলিমিনারি যৌথ বাছাইপর্বের রাউন্ড ১ থেকে আসবে আরও ৬ দল। এই ২৪ দল নিয়ে হবে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত বাছাইপর্ব। যেখানে হবে আরও ৬ ম্যাচ। 

তবে এতগুলো ম্যাচের সুযোগ বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলবে যদি কেবল এই এক ম্যাচে পরাজয়বরণ করে। সাত বছর পর আরও একবার এমন নির্বাসন নিশ্চয়ই চাইবেনা বাংলাদেশ।