নির্বাচনের প্রতিটি টাকার হিসাব দিতে হবে: রিজভী

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

 নির্বাচনের প্রতিটি টাকার হিসাব দিতে হবে: রিজভী

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘুমিয়ে থেকে ডামি নির্বাচনের নামে যে সংসদের জন্ম দিয়েছে আগামীতে দেশের জনগণের ভোটে সরকার গঠিত হলে প্রতিটি টাকার হিসাব দিতে হবে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

রিজভী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিশ্বের প্রায় সব মানবাধিকার সংগঠন, অস্ট্রেলিয়ার প্রভাবশালী সিনেটর ডেভিড শুব্রিজসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা শেখ হাসিনার কারচুপিপূর্ণ নির্বাচন বাতিল করে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিয়ে নতুন করে জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে। সুতরাং তামাশার নির্বাচন বাতিল ও রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ধ্বনিত হচ্ছে।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকারের পৈশাচিক অত্যাচারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের শীর্ষ নেতা ও হাজার হাজার কর্মী কারাবন্দি হয়ে এখনো শ্বাসরুদ্ধকর জীবনযাপন করছেন। তাদের সব মৌলিক অধিকার হরণ করে নিপীড়নের সর্বোচ্চ মাত্রা প্রয়োগ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা না পেয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছেন। গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলসহ আন্তর্জাতিক অধিকার গ্রুপ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে বিরোধীদের ওপর সরকাররের নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও রক্তপিপাসু ফ্যাসিস্ট সরকার সেগুলোকে ভ্রুক্ষেপ করছে না।

নতুন কর্মসূচির প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, অবশ্যই। আমাদের নেবৃবন্দ প্রতিদিন প্রায় বসছেন। কর্মসূচি ঠিক করে তারা জানাবেন। আর আমরা কর্মসূচি ও আন্দোলনের মধ্যে আছি। 

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কি আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি? আন্দোলনে আমাদের নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন, আবার নতুন কি কর্মসূচি আসবে, ৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত এক ধারায় হয়েছে, এখন আমরা কোন ধারায় আন্দোলনে যাবো, আমাদের সঙ্গে আরো দল রয়েছে- তাদের সঙ্গে কথা বলার বিষয় আছে। কথা বলার পরে একটা কর্মসূচি ঠিক হয়। সেভাবেই আমাদের কর্মসূচি যাচ্ছে। 

অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, আন্দোলনের পরিপূর্ণতায় স্রোত আমরা যত বয়ে দিবো, স্রোতের ধারা যত আসবে ততই আন্দোলন পরিপূর্ণ হবে এবং তারা (সরকার) পরাজিত হবে। আর কখন পরিস্থিতি হবে, সেটা বলা যায় না। শুধু একটা বলা যায়, জনগণের আন্দোলন যদি আর্দশ, ন্যায় ও গণতন্ত্রের পক্ষের হয়, সেই আন্দোলন কখনো বৃথা যাবে না। এটাই হচ্ছে ইতিহাসের রেকর্ড। এখানে জনগণ পরাজিত না। অপশক্তি কিছুদিন বাধা দিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু তার স্রোতকে আটকে রাখা যাবে না। কোন না কোন দিক থেকে এটা প্রতিহত করে এগোবে। 

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তামাশার নির্বাচন। এটা কোন সরকার না। কিসের মহাযাত্রা, কি হবে। ওটা সরকারের মরণযাত্রা তারা (আওয়ামী লীগ) করছে।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন সমূহের অর্ধশতাধিক নামের তালিকা প্রকাশ করে তাদের মুক্তি দাবি করেন।