Ad0111

নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের বাঁচা-মরায় সরকারের যায় আসেনা: রিজভী

নোয়াখালী-কুমিল্লার পূজা মণ্ডপের ঘটনায় যাদের নাম উঠে আসলো সবই কিন্তু যুবলীগ, ছাত্রলীগ

নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের বাঁচা-মরায় সরকারের যায় আসেনা: রিজভী
বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পিঁয়াজের দাম, মরিচের দাম, চালের দাম, তেলের দাম বাড়ুক এই সরকারের কি যায় আসে? দাম যারা বাড়িয়েছে তাদের বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যেমে লুটপাটের মাধ্যেমে বিশ্বের উন্নত দেশে তাদের বাড়ি ঘর হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষ বাঁচলো না মরলো তাতে তো তাদের কিছু যায় আসেনা।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও শ্রমজীবি মানুষের ভোগান্তির প্রতিবাদে এক মানবন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। মানববন্ধনটির আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এক লাফে সাত টাকা সোয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। পৃথিবীর অন্য কোন দেশের এক লাফে তেলের দাম সাত টাকা বাড়া অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু এ দেশে সম্ভব, কে এই প্রতিবাদ করবে? প্রতিবাদ করলে তো আপনাকে যেতে হবে শ্রী ঘরে অথবা লাল ঘরে। প্রতিবাদ বলে যে শব্দটি গণতন্ত্রে স্বীকৃত সেই শব্দটিকে নির্বাসনে পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা। এটাই হলো বাস্তব অবস্থা।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নোয়াখালী-কুমিল্লার পূজা মণ্ডপের ঘটনায় যাদের নাম উঠে আসলো সবই কিন্তু যুবলীগ, ছাত্রলীগ। রংপুরের পীরগঞ্জে যে ছেলেটির নাম আসলো, তাকে ছাত্রলীগ বহিষ্কার করেছে। কিন্তু তারপরও বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্র ক্ষমতা হাতে থাকলে আর শেখ হাসিনার মত প্রধানমন্ত্রী থাকলে এটা অসম্ভব ব্যাপার না।

তিনি আরও বলেন, আজকে এই ধরণের মিথ্যাচার অন্ধকার এসেছে বাংলাদেশে। কারও কোন নিরাপত্তা নেই। এদেশে চালের দাম বেশি, সোয়াবিন তেলের দাম বেশি, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে, বৃদ্ধি পেয়েছে সুপেয় পানির দামও। মানুষ ক্ষুব্ধ তাই একটি ঘটনা ঘটাও মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে থাকবে। যে কারণে তোমরা কুমিল্লা নোয়াখালীর দিকে তাকাও, দৃষ্টি ওইদিকে থাকবে। তোমরা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা বলো না। এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের কৌশল।

ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির একটি দেশে আমরা বাস করছি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমাকে অনেকেই বলেছ পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে আইডি কার্ড চাচ্ছে, ব্যবসায়ীক লাইসেন্সসহ অন্যান্য সার্টিফিকেট চাচ্ছে। এটার কারণ বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয় দেখানো। কিন্তু আপনাদের কোন লাভ হবে না। যারা অত্যাচারী, মানুষের উপর নির্মমতা দেখায় তারা ইতিহাসে টিকে থাকেনি। তারা জনগণের শত্রু । তাদের পতন হবেই এবং সত্যর জয় হবেই।

জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ শ্রমিকদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news