দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ বন্ধে এমসিসির সুপারিশ
প্রথম নিউজ, স্পোর্টস ডেস্ক: টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে যেনতেন হলেও প্রসঙ্গ যদি হয় ওয়ানডে; তবে বাংলাদেশকে সেরার কাতারে রাখতেই হবে। এই একটা ফরম্যাট টাইগাররা খেলে থাকে স্বাচ্ছন্দ্যে, দাপটের সাথে। বিশেষ করে দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলোতে। তবে কেমন হবে, যদি বন্ধ করে দেয়া হয় ওয়ানডের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ? পিলে চমকানো এমন ঘটনা ঘটতেও পারে।
ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে নানান মতামত অনেক আগে থেকেই শোনা যায় ক্রিকেট পাড়ায়। কেউ ওয়ানডে ক্রিকেট উঠিয়ে দিতে বলেন, কেউ আবার বলেন ৪০ ওভারে নামিয়ে আনতে। এতদিন বিষয়টা ব্যক্তিগত মতামতে আটকে থাকলেও এবার বিষয়টা গড়িয়েছে এমসিসি পর্যন্ত। জানা গেছে আইসিসির কাছে এমন প্রস্তাব রেখেছে ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থাটি।
এমসিসি বা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব ২০২৭ সালের পর ছেলেদের ক্রিকেটে ওয়ানডের সংখ্যা কমিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে। এমনকি ওয়ানডের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বন্ধেরও সুপারিশ করেছে তারা। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ততা কমিয়ে আনাকে। তাছাড়া ম্যাচ সংখ্যা কমিয়ে আনলে ওয়ানডে ক্রিকেটের মান বৃদ্ধি পাবে বলেও আশা করেছে এমসিসি
যদিও একেবারে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বন্ধের দাবি করেনি তারা, যে বছর বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে সে বছর দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ আয়োজন করা যেতে পারে বলে মত তাদের। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এমসিসির পক্ষ থেকে তাদের বৈঠকের আলোচ্য বিষয়গুলো প্রকাশ করা হয়েছে।
এমসিসির বক্তব্য, ‘ওডিআই ক্রিকেটের সংখ্যা কমলে, তার মান আরো বাড়বে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ওডিআই ক্রিকেট সরিয়ে দেয়া যেতে পারে। প্রতিটি বিশ্বকাপের এক বছর আগে থেকে ওডিআই সিরিজ করা যেতে পারে। এতে ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে জায়গা তৈরি হবে। যেটা কার্যকরীভাবে কাজে লাগানো যাবে।’
সেইসাথে টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে তহবিল গঠনের সুপারিশ করেছে এমসিসির ক্রিকেট কমিটি। নারী ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্যও তহবিল বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ক্রিকেটের নীতি-নির্ধারকেরা। তাছাড়া টেস্ট ক্রিকেটের উন্নতির প্রস্তাবনাও দিয়েছে তারা।
এমসিসি বলেছে, ‘কমিটি ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বাইরের দেশগুলোতে টেস্ট ক্রিকেটকে টিকিয়ে রাখার বিষয় নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। টেস্ট ক্রিকেটকে টিকিয়ে রাখতে একটি পৃথক টেস্ট ফান্ড গঠন করা যেতে পারে। যাতে করে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।’
উল্লেখ্য, এমসিসির বর্তমান প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন মাইক গ্যাটিং। তাছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারা, সৌরভ গাঙ্গুলী, ঝুলন গোস্বামী, ইয়ন মরগান, হিদার নাইট, রমিজ রাজা ও জাস্টিন ল্যাঙ্গারের মতো কিংবদন্তিরা। ২০১৯ সালে নিষিদ্ধ হবার আগে বাংলাদেশ থেকে সাকিব আল হাসানও ছিলেন সংগঠনটির সদস্য।